কালিগঞ্জ

কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের ॥ গ্রেফতার-২

By daily satkhira

September 10, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান কেএম মোশাররফ হোসেন সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় কালিগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে। নিহত চেয়ারম্যানের মেয়ে সাদিয়া ইসলাম বাদী হয়ে রোববার রাতে মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। মামলা নং-৬। তারিখ ০৯/০৯/২০১৮। এদিকে এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ এজাহার নামীয় দুইজনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন এজাহার নামীয় ১০ নং আসামী মোজাফফর হোসেন ও ১৪ নং আসামী লাল্টু। কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান জানান, কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান কেএম মোশাররফ হোসেন সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় চেয়ারম্যানের মেয়ে সাদিয়া ইসলাম বাদী হয়ে ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ১নং আসামী করা হয়েছে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল গাইনকে। ২ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে বলে তিনি জানান। ওসি আরও জানান, এদিকে এই হত্যার নেপথ্য কারণ নির্ণয়ে পুলিশ মাঠে নেমেছে। স্থানীয় সাপখালি খাল উন্মুক্ত করা নিয়ে তার সাথে বিরোধ রয়েছে অনেকের। তার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবদুল জলিলের সাথে চরম বিরোধ চলছিল চেয়ারম্যানের। সম্প্রতি আবদুল জলিল বেশ কয়েকজন লোককে সাথে নিয়ে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এসে এক সংবাদ সম্মেলন করে বলেন ‘চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন দক্ষিন রঘুনাথপুর গ্রামের আবু মালাইকার বাড়িতে হামলা করে ভাংচুর ও লুটপাট করেন। তিনি এলাকার লোকজন জমি ও বাড়ি দখল করছেন’। এ ছাড়া সম্প্রতি স্থানীয় মহসীন ডাকাতকে কে বা কারা কৃষ্ণনগর বাজারে কুপিয়ে জখম করে। মহসীন ডাকাত চেয়ারম্যান মোশাররফ বিরোধী লোক। এলাকায় চেয়ারম্যানের সাথে অনেকের রয়েছে রাজনৈতিক বিরোধ। ওসি জানান এসব বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত কাজ চলছে। উল্লেখ্য শনিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে কৃষ্ণনগর বাজারে যুবলীগ অফিসে বসেছিলেন চেয়ারম্যান কেএম মোশারফ হোসেন। এ সময় পাঁচ ছয় জন যুবক তিনটি মোটর সাইকেলে এসে বাজারে কয়েকটি ককটেল বোমা ফাটায়। এতে আতংকিত হয়ে দোকানপাট বন্ধ হবার সুযোগে সন্ত্রাসীরা যুবলীগ অফিসে ঢুকে চেয়ারম্যানের গালে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে। এরপরও তারা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে দ্রুত পালিয়ে যায়। কালিগঞ্জ হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান।