অনলাইন ডেস্ক: প্রশান্ত মহাসাগরে আবর্জনার স্তুপ, যা বিশ্বে সবচেয়ে দীর্ঘ৷ আর সেই আবর্জনা পরিষ্কারের প্রক্রিয়ার কাজ শুরু হল৷ ‘ভাসমান ঝাড়ু’ দিয়ে গভীরে থাকা আবর্জনা উঠে আসছে খুব সহজে৷ কয়েকমাস পর্যন্ত ক্যালিফোর্নিয়া-হাওয়াই পর্যন্ত চলবে আবর্জনা সাফাইয়ের কাজ৷ প্রশান্ত সাগরের বিরাট এই আবর্জনার এলাকা ‘গ্রেট পেসিফিক গারবেজ প্যাচ’ নামে পরিচিত৷ অভিনব উপায়ে চলছে আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ৷ সমুদ্রে জাল পেতে আছে ভাসমান ঝাড়ু৷ যা দীর্ঘে ২০০০ ফুট৷ এই বিশাল আবর্জনা পরিষ্কারের জাল সানফ্রান্সিসকো থেকে শুরু৷ ‘দ্য ওসান ক্লিন–আপ’ সংস্থার উদ্যোগে চলছে জঞ্জাল সাফাইয়ের কাজ৷ সমুদ্রে প্ল্যাস্টিকের আধিক্য সবচেয়ে বেশি৷ এই আবর্জনা পরিষ্কারের উদ্যোক্তা বোয়াল স্লট। যিনি মাত্র ২৪ বছর বয়সে প্রশান্ত মহাসাগর আবর্জনামুক্ত করার কাজে নেমেছেন৷ তিনি জানিয়েছেন, ৬০ থেকে ৭০ দশকের প্ল্যাস্টিক এখনও সমুদ্রে ভাসমান৷ কারণ প্ল্যাস্টিক সহজে সমু্দ্রে থেকে যায় না৷ তাই পরিষ্কারের জন্য ভাসমান জাল ‘ইউ’ আকৃতির৷ যেখানে প্রথমেই ধরা পড়ছে প্ল্যাস্টিক৷ অভিনব প্রযুক্তির ধাতব জালটি সৌর বিদ্যুত দ্বারা পরিচালিত৷ জাল জুড়ে রয়েছে সোলার ল্যাম্প৷ জালটি জলস্তরের যতটা জায়গা জুড়ে আবর্জনা ঠিক সেই পর্যন্ত যায়৷ এর ফলে জলের মাছও বিপদে পড়ে না৷ ধাতব জালটি স্তরে স্তরে ভাগ করা৷ যেখানে মাছ ফাঁদে পড়লেও, বেরিয়ে যাওয়ার পথ আছে৷ এছাড়া প্ল্যাস্টিক জমা হওয়ারও আলাদা জায়গা রয়েছে৷ আবর্জনা সাফাই করে জমা করা হচ্ছে বড় জাহাজে৷ ইতিমধ্যেই প্রায় ৯ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক সমুদ্রল থেকে তোলা হয়েছে৷ অনুদানের মাধ্যমে চলছে এতবড় আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ৷ ২০২০ সালের মধ্যে প্রশান্ত মহাসাগর আবর্জনামুক্ত করাই উদ্দেশ্য৷ অনুদানের ঝুলিতে ইতিমধ্যেই ৩৫ মিলিয়ন ডলার জমা পড়েছে৷