খেলার খবর: স্বপ্নের মতো সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর কাটায় বাংলাদেশ। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে টেস্ট সিরিজে হারের মধুর প্রতিশোধ নেয় টাইগাররা। ৯ আগস্ট সফল মিশন শেষে দেশে ফেরেন তারা। তবে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল) খেলতে সেখানে থেকে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সব মিলিয়ে ৭৬ দিন শেষে ৯ সেপ্টেম্বর দেশে ফেরেন তিনি। মাত্র একদিনের বিরতি নিয়ে ফের বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আরব আমিরাতের উদ্দেশে পাড়ি জমান। এর আগে সিপিএল অভিজ্ঞতার কথা জানান মিস্টার কুল। সিপিএলে এবারের আসরে আটটি ম্যাচ খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ। ছয় ইনিংসে ব্যাট করে ২১.৬ গড়ে করেন ৮৭ রান। বল হাতে নেন ৪ উইকেট। আহামরি কোনো পারফরম্যান্স নয়। তবে এতেও সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসকে প্লে-অফে তুলতে রাখেন অগ্রণী ভূমিকা। নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে মাহমুদউল্লাহ বলেন, বলব না, শতভাগ দিতে পেরেছি। তবে চেষ্টা করেছি। একে মোটামুটি পারফরম বলা যায়। হয়তো সব কিছু মনের মতো হলে আরও ভালো করতে পারতাম। বেশিরভাগ ইনিংসে ভালো শুরু পেয়েছি। তবে সেটি লম্বা করতে পারিনি। ১৪-২২ এর মধ্যে আটকে গেছি। বড় অবদান রাখতে না পারলেও মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে চড়েই প্লে-অফ নিশ্চিত করে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস। শেষ চারে খেলার জন্য সিপিএলের ২৫তম মহাগুরুত্বপূর্ণ ছিল দলটির। জ্যামাইকার বিপক্ষে জয়টা খুবই জরুরি ছিল গেইল বাহিনীর! সেখানে হেরে যেতে বসেছিলেন তারা। শেষ দিকে জয়ের জন্য দরকার ছিল ২৩ বলে ৪৭ রান। ইতিমধ্যে সাজঘরে ফিরেছেন ক্রিস গেইল ও এভিন লুইস। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাট করতে নামেন মাহমুদউল্লাহ। নেমেই রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন। হাতের ব্যাটকে বানান তলোয়ার। তাতে কচুকাটা করেন প্রতিপক্ষ বোলারদের। একের পর এক বাউন্ডারিতে চালান তাণ্ডব। কঠিন সমীকরণও মিলিয়ে দেন। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে জিতে যায় সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস। ১১ বলে ২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন মিডল অর্ডারের স্তম্ভ। দুটি করে চার-ছক্কায় এ হার না মানা ইনিংস খেলেন তিনি। ওই দিন পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নামেন বাংলাদেশি ব্যাটার। এর আগের ম্যাচে ৯ নম্বরে ব্যাটিং করেন। মূলত তার ওপর আস্থা রাখেন ক্রিস গেইল। তাতেই ব্যাটিং অর্ডারে উন্নতি এবং নিজের স্বভাবসুলভ ব্যাটিং। আস্থা রাখার জন্য সেন্ট কিটস অধিনায়ককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ, সব কিছুর জন্য তাকে (গেইল) ধন্যবাদ দেব। তিনি আমাকে যেতে বলেছিলেন। তার চাওয়াতেই গিয়েছিলাম। আমিও তার আস্থার প্রতিদান দিতে চাচ্ছিলাম। ছোট ইনিংস হলেও দলের জয়ে কাজে লেগেছিল। ভালো লাগছে দল জিতেছে, শীর্ষ চারে উঠেছে।