জাতীয়

ভয়াবহ বন্যায় পানিবন্দি ২০ হাজার মানুষ

By daily satkhira

September 11, 2018

অনলাইর ডেস্ক: ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে রংপুরের গঙ্গাচড়ার তিনটি ইউনিয়ন বিলীন হওয়ার পথে। তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এমনকি প্রচণ্ড স্রোত ধারায় তিস্তা নদীর অববাহিকায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তা পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হয়। রাত ৯টায় তা বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। এদিকে ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার (৫২ দশমিক ৬০ মিটার) ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভাটিতে তীরবেগে ধাবিত হচ্ছে। উজানের ঢল সামাল দিতে খুলে রাখা হয়েছে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট। তিস্তায় বন্যার কারণে ডানতীরের দোহলপাড়া স্পারটির সামনের অংশের ১০মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলা ও উপজেলার প্রায় ২০টি চরগ্রাম হাঁটু থেকে কোমর পানিতে তলিয়ে যেতে শুরু করেছে। এতে প্রায় ৫ হাজার পরিবার বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রভাষক আব্দুল লতিফ খান জানান, গত দুই দিনের চেয়ে উজানের ঢলের গতি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে এলাকার নিচু ও উঁচু স্থানে নদীর পানি প্রবেশ করেছে। ঝুনাগাছ চাপানি ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, ছাতুনামার চর,ফরেষ্টের চর, সোনাখুলীর চর ও ভেন্ডাবাড়ি চরে দেড় হাজার পরিবারের বসতবাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, উজানের ঢলের কারণে তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধাক প্রকৌশলী রংপুর পওর সার্কেল-২ জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ বলেন, দোহলপাড়া স্পারটির সামনের এৎপ্রোন অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বিষয়টি মঙ্গলবার সরেজমিনে তদন্ত করে দ্রুত সময়ে মেরামত করা হবে।