খেলার খবর: সাউদাম্পটন টেস্টে ভারতের বিপক্ষে ৬০ রানের জয় পায় ইংল্যান্ড। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ৩-১ ট্রফি জিতে নেয় ইংলিশরা। শুক্রবার (০৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ওভালে নিয়মরক্ষার শেষ টেস্ট মাঠে নামে ভারত ও ইংল্যান্ড।
ওভাল টেস্টের চতুর্থ দিনে ব্যাট করতে নেমেই ব্যাটিংয়ে ভরাডুবি বিরাটদের। সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) ৪২৩ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম তিন ওভারে মাত্র ২ রানে তিনটি উইকেট হারায় ভারত। জেমস অ্যান্ডারসনের বলে মাত্র ১ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ওপেনার শিখর ধাওয়ান।
কোন রান করার আগে জিমির বলেই এলবিডব্লিউ হয়ে মাঠ ছাড়েন চেতেশ্বর পূজারা। রানের খাতা খুলতে পারেননি ভারত অধিনায়ক বিরাটও। ব্যারিস্টোর বলে আউট হয়ে শূন্য রানে মাঠ ছাড়েন ক্যাপ্টেন হট। লোকেশ রাহুল এবং অজিঙ্ক রাহানে লড়াই না করলে আরও খারাপ অবস্থা হতে পারত ভারতের ব্যাটিং লাইনআপের। চতুর্থ দিনের শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ৫৮ রান তোলে ‘মেন ইন ব্লু’।
বড় রানের টার্গেট নিয়ে খেলতে নেমেই পরপর ইউকেট হারানো ভারতের হয়ে লড়াই করেন লোকেশ রাহুল। ৮টি চারের সাহায্যে ৫১ বলে অপরাজিত ৪৬ রান করেন রাহুল। তাকে যোগ্য সাহায্য করেন অজিঙ্ক রাহানে। অ্যালেস্টার কুক ও জো রুটের জোড়া শতরানে আট উইকেটে ৪২৩ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংসে ডিক্লেয়ার্ড করে ইংল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে ৪০ রানে পিছিয়ে থাকায় ৪৬৪ রানে বিশাল টার্গেট দিল রুট অ্যান্ড কোং।
অভিষেকের মতো কেরিয়ারের শেষ টেস্টটাও ভারতের বিরুদ্ধে খেললেন কুক৷ শুরু ও শেষ টেস্টে সেঞ্চুরি করে নজির গড়েন কিংবদন্তি এই ইংরেজ ব্যাটসম্যান। ২০০৬ নাগপুরে ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল বাঁ-হাতি ইংরেজ ওপেনারের। কেরিয়ারের শেষ ইনিংসে দুরন্ত সেঞ্চুরির পর কুক থামেন ১৪৭ রানে। এর আগে ক্যাপ্টেন রুটের সঙ্গে ২৫৯ রানের পার্টনারশিপ গড়ে কুক-রুট।
ইংরেজ অধিনায়ক এদিন তার টেস্ট কেরিয়ারের চতুর্দশ সেঞ্চুরিটি করেন। শেষ পর্যন্ত ১২৫ রানে থামে রুটের লড়াই। কুক ও রুট দু’জনকেই প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখান অভিষেককারী হনুমা বিহারী। অভিষেক টেস্টে ব্যাট ও বল হাতে সফল ভারতের এই তরুণ তুর্কী। প্রথম ইনিংসে হাফ-সেঞ্চুরির পর বিহারী বল ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে তুলে নেন তিনটি উইকেট।