জাতীয়

নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে রেহাই পেলেন গাইবান্ধার ডিসি

By Daily Satkhira

December 12, 2016

অনলাইন ডেস্ক: গোবিন্দগঞ্জে চিনিকলের বিরোধপূর্ণ জমি থেকে উচ্ছেদের সময় গুলির ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের আদেশে সাঁওতালদের ‘বাঙ্গালী দুষ্কৃতিকারী’ বলার জন‌্য হাই কোর্টের তলব পেয়ে আজ সোমবার হাইকোর্টে হাজির হয়েছিলেন গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আব্দুস সামাদ। আদালতে দেওয়া প্রতিবেদনে শব্দচয়নের ব্যাপারে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে অব্যাহতি পেয়েছেন গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক।

গত ৬ ডিসেম্বর, তাকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় কমিটি গঠন হয়েছে জানিয়ে জেলা প্রশাসকের দাখিল করা প্রতিবেদনে থাকা কিছু শব্দের (ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্য/বাঙালি দুষ্কৃতকারীরা) বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে জেলা প্রশাসককে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনা করে ব্যাখ্যা দেন গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক আবদুস সামাদ। ব্যাখ্যায় বলা হয়, সাঁওতালদের ঘটনায় এসপির দেওয়া রিপোর্টের আলোকে তিনি হাইকোর্টে প্রতিবেদন দেন। এরপর এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে এসপিকে তলব করেন আদালত।

পরে, আদালতের কাছ থেকে অব্যাহতি পান জেলা প্রশাসক। আদালত আগামী ২ জানুয়ারি গাইবান্ধা পুলিশের বিশেষ শাখার সুপারকে তার প্রতিবেদনে শব্দচয়নের বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে হাইকোর্টে হাজির হতে বলেছেন।

গত ৬ নভেম্বর গোবিন্দগঞ্জের রংপুর চিনিকলের জমিতে আখ কাটাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও চিনিকলের শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষ হয়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় সাঁওতালদের পক্ষে হওয়া প্রথম মামলার বাদী স্বপন মুরমুও আজ আদালতে হাজির হন। তাকেও আজ হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

সব পক্ষের আইনজীবীদের উপস্থিতিতে আজ স্বপনের বক্তব্য গ্রহণ করেন আদালত। এ বিষয়ে আদেশের জন্য আদালত ১৪ ডিসেম্বর তারিখ ধার্য করেছেন। গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় ইতিমধ্যে হাইকোর্টে পৃথক রিট হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি সংগঠনের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৭ নভেম্বর হাইকোর্ট রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন।