নিজস্ব প্রতিবেদক : অনিয়ম,দূর্ণীতি,স্বেচ্ছাচারিতা ও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে সাতক্ষীরা জেলা রেজিষ্ট্রার মুন্সি রুহুল ইসলামের বিরুদ্ধে। তার স্বেচ্ছাচারিতায় অতিষ্ট অফিসের কর্মচারীসহ সাধারণ মানুষ। সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ৩ মে মুন্সী রুহুল ইসলাম সাতক্ষীরা জেলা রেজিষ্টার হিসাবে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে তিনি দলিল লেখকদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মানষিক নির্যাতন চালান। দলিল লেখকের লাইসেন্স প্রদানের জন্য একটি লাইসেন্স’র জন্য জেলা রেজিষ্ট্রার তার কর্মচারী রাশিদ আলীর মাধ্যমে ১ থেকে দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। এদিকে সাতক্ষীরা জেলা রেজিষ্ট্রারকে সকল উপজেলা অফিস থেকে দলিল প্রতি ১’শ টাকা হারে দিতে হয়। এছাড়া জেলার সব কয়টি অফিস থেকে মাসে ৭০ হাজার থেকে শুরু করে ১’লাখ টাকা করে মাসহারা দিতে হয়। দলিল রেজিষ্ট্রি কম হওয়ার কারনে শুধু মাত্র সখিপুর অফিসের জন্য মাসে ৫০ হাজার টাকা নির্ধারন করেছেন জেলা রেজিষ্ট্রার মুন্সি রুহুল ইসলাম। এখানেই থেমে নেই তার দূর্ণীতি জেলার সব কয়টি অফিস থেকে প্রতি ছয় মাস একবার অডিট বিল হিসাবে জেলা রেজিষ্ট্রার কে দিতে হয় এক থেকে দেড় লাখ টাকা। যে কোন অফিস থেকে দলিলের নকল তুলতে গেলে জেলা রেজিষ্ট্রারের নামে অতিরিক্ত ১’শ ৫০ টাকা করে আদায় করা হয় গ্রাহকদের কাছ থেকে। জেলা রেজিষ্ট্রারের সকল ধরনের অবৈধ অর্থ কালেকশনের জন্য জেলা অফিসের সহকারী রাশিদুজ্জামান রাশিদ দায়িত্ব পাওয়ার পর সকল উপজেলা অফিসের কর্মচারীদের কাছে এখন মূর্তিমান আতঙ্ক রাশিদ। জেলা রেজিষ্ট্রার মুন্সি রুহুল ইসলাম যোগদানের পরে অফিস সহকারী রাশিদ তার বিশস্থ হয়ে ওঠেন যার কারনে জেলা রেজিষ্ট্রারের সকল অবৈধ কাজের মূল হাতিয়ার হিসাবে রাশিদ কাজ করে। প্রতি উপজেলা অফিস থেকে জেলা কর্তার মাসিক টাকা উত্তোলনের সময় তাকেও দিয়ে হয় আরো ১০ হাজার টাকা। এছাড়া প্রত্যেক উপজেলা অফিসের টিসি সহকারীদের বেতন বিল ক্যাশ করার সময় ১’হাজার ৫’শ টাকা করে ঘুষ দিতে হয়। জেলা রেজিষ্ট্রার মুন্সি রুহুল ইসলাম যোগদানের পরে তার চাহিদা পুরণ করার জন্য সকল উপজেলা অফিস গুলো দূর্ণীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। অপরদিকে সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের ৮৭ জন দলিল লেখক ইতোমধ্যেই জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে জেলা রেজিষ্ট্রারের ঘুষ, অনিয়ম ও দূর্ণীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন বর্তমানে অভিযোগ টি জেলা প্রশাসকের নির্দেশে একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তদন্ত করছেন। এব্যাপারে এক বার শুনানিও হয়েছে। এঘটনায় জেলা রেজিষ্ট্রার গত কাল মঙ্গলবার সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লেখকদের নিয়ে মতবিনিময় করেছেন। এসময় তিনি কয়েকজন দলিল লেখকদের কাছে তার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করার কারন জানতে চান এবং এসব থেকে বিরত থাকার হুমকি প্রদান করেন বলে জানা গেছে। এব্যাপারে জেলা রেজিষ্ট্রার মুন্সি রুহুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে। এব্যাপারে জেলা রেজিষ্ট্রার মুন্সি রুহুল ইসলাম’র সহকারী রাশিদ জানান, আমি আর ২মাস পরে অবসরে যাবো। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ চাপিয়ে দিচ্ছে একটি মহল। আমার দ্বারা কোন অন্যায় কাজ হয় না।