কলারোয়া

আফরোজা আত্মহত্যা; চেয়ারম্যানের মুক্তির দাবিতে সমাবেশ/ নারী নির্যাতনের পক্ষে জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতারা!

By Daily Satkhira

December 12, 2016

নিজস্ব প্রতিবেদক: কলারোয়া উপজেলার ৬নং সোনবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম মনিরুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামীলীগ ও ১২টি ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। তবে এভাবে একযোগে রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের নারী নির্যাতনের পক্ষে অবস্থান নেয়াকে সমালোচনা করছেন সচেতন নাগরিকরা। উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি ওয়াদুদ ঢালীর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, তালা-কলারোয়া আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা আ’লীগ নেতা ফিরোজ কামাল শুভ্র, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন, জেলা আ’লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক কলারোয়া বাজার কমিটির সভাপতি আরাফাত হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিনা আনোয়ার ময়না, সুপ্রসাদ চৌধুরী, মাস্টার আলমগীর হোসেন, লিয়াকত আলী, যুবলীগ নেতা আশিকুর রহমান মুন্না, ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল হাসান প্রমুখ। সমাবেশে প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য এ্যাড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আগামী ১৫ ডিসেম্বর ধার্যকৃত দিনে ইউপি চেয়ারম্যানকে জামিনে মুক্ত করে নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দিলে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত নেতাকর্মীরা সমাবেশ প্রত্যাহার করে শান্তিপূর্ণভাবে স্ব-স্ব এলাকায় ফিরে যান। উল্লেখ্য, নারী নির্যাতন ও আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় গত শনিবার রাতে সোনাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার অপর দুই সহযোগী হলেন, চৌকিদার ইসলাম ও জয়। গ্রেফতারকৃত চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম সোনাবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এর  আগে, গত শুক্রবার দুপুরে কাজের ফাঁকে আফরোজা নামের এক তরুনী বাড়ির পাশে সোনাবাড়িয়ায় হাসানের দোকানে যান মোবাইল ফোনে রিচার্জ করতে। এ সময় পলাশ নামের এক যুবক আসে হাসানের কাছে তার পাওনা টাকা নিতে। এক পর্যায়ে পলাশ ও আফরোজাকে একটি ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে বাইরে থেকে দরজা আটকে দেয় হাসান ও তার বন্ধু হাফিজ। পরে তারা চিৎকার দিয়ে লোক জড়ো করে। বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামকে জানালে তিনি বিচারের নামে মেয়েটিকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাচ ও নানাভাবে অপমানিত করে মারধর করেন এবং তার হুকুমে তাদের দুজনকে দড়ি দিয়ে বেধে সমস্ত গ্রাম ঘুরানো হয়। এই অপমান সইতে না পেরে শনিবার সন্ধ্যায় নিজ ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে আফরোজা। এ ঘটনায় আফরোজার ভাই ইব্রাহীম খলিল শনিবার রাতেই ৭জনকে আসামি করে কলারোয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।