জাতীয়

দেশের শীর্ষ ১০০ ঋণ খেলাপির তালিকা প্রকাশ

By daily satkhira

September 12, 2018

দেশের খবর: দেশে বর্তমানে ঋণখেলাপির সংখ্যা ২ লাখ ৩০ হাজার ৬৫৮ ও তাদের কাছে পাওনা অর্থের পরিমাণ ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৬৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা। বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি বেগম পিনু খানের এক প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এসময় তিনি শীর্ষ ১০০ ঋণ খেলাপির তালিকাও প্রকাশ করেন। সংসদে দেওয়া অর্থমন্ত্রীর তালিকা অনুযায়ী শীর্ষ ১০০ ঋণখেলাপির মধ্যে রয়েছে মোহাম্মদ ইলিয়াস ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেড,কোয়ান্টাম পাওয়ার সিস্টেম লি., ম্যাক্স স্পিনিং মিলস, রাবেয়া ভেজিটেবল ওয়েল ইন্ডাট্রিজ, রাইজিং স্টিল মিল, ঢাকা ট্রেডিং হাউজ, বেনেটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, আনোয়ারা শিপিং মিলস, ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস, ইয়াসির এন্টার প্রাইজ, চৌধুরী নিটওয়ার,সিদ্দিক ট্রেড, রুপালী কম্পোজিট লেদার ওয়ার, আলফা কম্পোজিট টয়েলস হলমার্ক ফ্যাশন লিমিটেড, মুন্নু ফেব্রিক্স, ফেয়ার ইয়ার্ন প্রসেসিং লিমিটেড, ফেয়ার ট্রেড ফেব্রিক্স, শাহরিজ কম্পোজিট টয়েল লিমিটেড, ম্যাক ইন্টারন্যাশনাল, সুরুজ মিয়া শিপিং মিলস,প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড, সালেহ কার্পেট মিল, পদ্মা পলি কটন নিট ফেব্রিক্স, এ কে স্টিলের নাম। এসমসয় অর্থমন্ত্রী জানান, ঋণ খেলাপিদের কাছে অনাদায়ী অর্থের পরিমাণ বাংলাদেশের সর্বশেষ প্রণীত বাজেটের এক চতুর্থাংশেরও বেশি। ৮৮ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে এই ঋণ নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিভিন্ন প্রকল্পের অনুকূলে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা থেকে প্রাপ্ত বৈদেশিক সাহায্যের আশ্বাসের পরিমাণ ৩৬১ দশমিক ৩৫ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে ঋণের পরিমাণ ৩৬০ মিলিয়ন ডলার এবং অনুদানের পরিমাণ ১ দশমিক ৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বৈদেশিক সাহায্যের প্রাপ্তির (ডিসবার্সমেন্ট) পরিমাণ ১৮৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ঋণের পরিমাণ ১৮৫ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং অনুদানের পরিমাণ ২ দশমিক ৪২ মার্কিন ডলার। অর্থমন্ত্রী আরও জানান, কৃষি ঋণের সুদহার ২০১৭ সালের জুলাই মাস থেকে ৯ শতাংশে নামানো হয়েছে। এর আগে এটি ১০ শতাংশ ছিল। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সারাদেশে বেসরকারি ব্যাংক থেকে কৃষকদের মধ্যে ১১ হাজার ৩১৬ কোটি টাকার কৃষি ও পল্লী ঋণ প্রদান করা হয়েছে। আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত অর্থাৎ একমাসে সারাদেশে বেসরকারি ব্যাংকগুলো থেকে ৭৮৩ কোটি টাকার কৃষি ও পল্লী ঋণ প্রদান করা হয়েছে।