আন্তর্জাতিক

রাখাইনের পরিস্থিতি আরও ভালোভাবে সামলানো যেত: সু চি

By daily satkhira

September 13, 2018

বিদেশের খবর: সেনাবাহিনীর দমনপীড়নে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের শরণার্থী জীবনের এক বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি বললেন, রাখাইনের পরিস্থিতি হয়ত আরও ভালোভাবে সামাল দেওয়া যেত। ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে বৃহস্পতিবার আসিয়ান নিয়ে ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামে সু চি বলেন, “এখন ভাবলে মনে হয়, কিছু উপায় অবশ্যই ছিল যার মাধ্যমে পরিস্থিতিটা আরও ভালোভাবে সামাল দেওয়া সম্ভব ছিল।” নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েক ডজন স্থাপনায় একযোগে হামলার পর গতবছর ২৫ অগাস্ট থেকে রাখাইনে সেনাবাহিনীর ওই দমন অভিযান শুরু হয়। সেই সঙ্গে শুরু হয় এশিয়ার এ অঞ্চলে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় শরণার্থী সঙ্কট। গত এক বছরে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে তাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করলেও এখনও প্রত্যাবাসন শুরু করা যায়নি। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কথায় উঠে এসেছে রাখাইনে তাদের গ্রামে গ্রামে নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াওয়ের ভয়াবহ বিবরণ। জাতিসংঘের একটি স্বাধীন তথ্যানুসন্ধান মিশনের প্রতিবেদনে সম্প্রতি বলা হয়, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ‘গণহত্যার অভিপ্রায়’ থেকেই রাখাইনের অভিযানে রোহিঙ্গা মুসলমানদের নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণের মত ঘটনা ঘটিয়েছে। ওই প্রতিবেদন আসার পর জাতিসংঘের বিদায়ী মানবাধিকার হাই কমিশনার জাইদ রা’দ আল হুসেইন বলেন, রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনীর নৃশংস দমন অভিযানের ঘটনায় মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির পদত্যাগ করা উচিত ছিল। অবশ্য মিয়ানমার বরাবরই সেসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলে আসছে, তাদের অভিযান ছিল সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে, যারা গতবছর ২৫ অগাস্ট নিরাপত্তা বাহিনীর স্থাপনায় হামলা চালিয়েছিল। হ্যানয়ের সম্মেলনে সু চি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, আমরা যদি দীর্ঘ সময়ের জন্য নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা চাই, আমাদের হতে হবে পক্ষপাতহীন। কেবল নির্দিষ্ট কোনো পক্ষকে আইনের শাসনে সুরক্ষা দেওয়ার কথা আমরা বলতে পারি না।”