জাতীয়

বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় ওবামার হস্তক্ষেপ চাইলেন হিন্দুরা

By Daily Satkhira

December 12, 2016

অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সহায়তা চেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র-প্রবাসী বাংলাদেশিদের একাংশ। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা ভয়াবহ জঙ্গি-হুমকিতে রয়েছে উল্লেখ করে এ ব্যাপারে ওবামার হস্তক্ষেপ করেন তারা।

হোয়াইট হাউসের সামনের এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এইসব দাবি জানানো হয়। সমাবেশ শেষে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় ওবামার হস্তক্ষেপ চেয়ে হোয়াইট হাউসে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় রবিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের সুরক্ষায় ওই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সংখ্যালঘুদের সংগঠন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ইউনিটি কাউন্সিল ওই সমাবেশের উদ্যোগ নেয়। সমাবেশে যোগ দিতে মার্কিন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা নিউ ইয়র্ক ও ওয়াশিংটন ডিসির আশেপাশের এলাকা থেকে হোয়াইট হাউসের সামনে এসে একত্রিত হন। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ইউনিটি কাউন্সিল-এর প্রেসিডেন্ট নবেন্দু বিকাশ দত্ত সমাবেশে বলেন, ‘গত সাত বছরে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা ২৭৩টি মামলার মধ্যে মাত্র একটি মামলার নিস্পত্তি হয়েছে।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক এক জরিপের প্রসঙ্গ ধরে নবেন্দু বিকাশ জানান, প্রতি বছর ২ লাখ ৩০ হাজার সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দুরা বাংলাদেশ ছাড়ছে। তিনি অভিযোগ করেন, ‘বাংলাদেশে নীরব গণহত্যা চলছে। যে ধর্মনিরপেক্ষতার নীতির ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা পেয়েছিল তা প্রতিদিন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।’ এতে বলা হয়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচারের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর সহিংস বিক্ষোভ এবং আনসারুল্লাহ বাংলার নামে কিংবা আল কায়েদা-আইএস-এর ছায়াতলে বুদ্ধিজীবী, ব্লগার, বিদেশি নাগরিক এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং অপ্রথাগত বিভিন্ন মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নেতাদের হত্যার ঘটনায় বাংলাদেশে ইসলামী জঙ্গিবাদের উত্থান সম্পর্কে আঁচ পাওয়া যায়। এতে বাংলাদেশের একটি ধর্মতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পর্যবসিত হওয়ার বাস্তবতাকেই সামনে আনে। এতে আরও বলা হয়, ‘ইসলামী জঙ্গিবাদের উত্থানের নেপথ্যে রয়েছে সৌদি আরবসহ অন্যান্য উপসাগরীয় দেশ থেকে আসা অর্থসহায়তা। এই টাকাগুলো যায় বিভিন্ন মাদ্রাসা এবং ইসলামী সংগঠনে। ২০১৫ সালের জুলাই মাসের গুলশান হামলার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের সরকার আইএস-এর উপস্থিতির বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেছে।