দেশের খবর: এমপিওভুক্তির জন্য তৈরি করা সফটওয়্যার নতুন এমপিওভুক্তির জন্য ১ হাজার ৫৩৭টি প্রতিষ্ঠানকে যোগ্য হিসেবে উপস্থাপন করেছে। তবে এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করেছিল ৬ হাজার ১৪১টি প্রতিষ্ঠান। সফটওয়ারের বিবেচনায় এমপিওভুক্তি করা হলে আবেদন করা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বাদ পড়বে ৪ হাজার ৬০৪টি প্রতিষ্ঠান। গত ৫ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এমপিওভুক্তির জন্য সারাদেশের প্রায় ৬ হাজার ১৪১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আবেদন জমা পড়ে। সফটওয়্যারে মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনলাইনেই বাছাই করা হয় আবেদনগুলো। তথ্য অনুযায়ী, নিম্ন মাধ্যমিক স্কুল এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন জমা পড়েছে ১ হাজার ৯৬৭টি। এর মধ্যে এমপিওভুক্তির সব শর্ত পূরণ করে যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়েছে ৫৭৯টি প্রতিষ্ঠান। মাধ্যমিক স্তরের এমপিওভুক্তির জন্য ২ হাজার ৭৩৯টি আবেদনের মধ্যে সব শর্ত পূরণ করে যোগ্য বিবেচিত হয়েছে ৭৬৪টি প্রতিষ্ঠান। উচ্চ মাধ্যমিক (ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ) ৩৩৫টি আবেদনের মধ্যে সব শর্ত পূরণ করে যোগ্য ৬৬টি, উচ্চ মাধ্যমিক শুধু কলেজের ৫৪৫টি আবেদনের মধ্যে সব শর্ত পূরণ যোগ্য ৮৫টি। এছাড়া ডিগ্রি স্তরের এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করেছে ৫৫৫টি যার মধ্যে যোগ্য বিবেচিত হয়েছে ৪৩টি প্রতিষ্ঠান। এমপিওভুক্তির নীতিমালা ২০১৮ এর আলোকে এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে মূল্যায়ন করা হয়। যে প্রতিষ্ঠানগুলো নীতিমালার সব শর্ত পূরণ করেছে তাদের প্রাথমিকভাবে যোগ্য হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
নতুন এমপিওভুক্তির জন্য কত টাকা লাগবে অন্যদিকে আবেদন করা নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক স্কুলগুলোর সবগুলো এমপিওভুক্তি করতে কত টাকা লাগবে তার একটি হিসাব তৈরি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। নিম্নমাধ্যমিক স্তরের একটি স্কুলে একজন প্রধান শিক্ষক, ১১ জন সহকারী শিক্ষক, ২ জন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী এবং ৪ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীসহ ১৮ জন এমপিওভুক্তি হবে। উত্সবভাতা বাড়ি ভাড়াসহ এক বছরে একটি স্কুলের পেছনে সরকারের ব্যয় ৩৪ লাখ ৮২ হাজার ৩শ’ টাকা। সে হিসাবে নিম্নমাধ্যমিকে আবেদন করা ১ হাজার ৯৬৭টি প্রতিষ্ঠানের জন্য বছরে প্রয়োজন ৬৮৪ কোটি ৯৬ লাখ ৮৪ হাজার ১শ’ টাকা। মাধ্যমিক স্কুলে একজন প্রধান শিক্ষক, একজন জন সহকারী প্রধান শিক্ষক, ১৩ জন সহকারী শিক্ষক, ১ জন গ্রন্থগারিক, ২ জন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী এবং ৪ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীসহ মোট জনবল হবে ২২ জন। মাসিক বেতন, উত্সবভাতা বাড়িভাড়াসহ প্রতিটি স্কুলের পেছনে সরকারের বছরে ব্যয় হবে ৪৫ লাখ ১৬ হাজার ৮শ’ টাকা। সে হিসাবে মাধ্যমিক স্কুল এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করা ২ হাজার ৭৩৯টি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য ১ হাজার ২৩৭ কোটি ১৫ লাখ ১৫ হাজার ২শ’ টাকা প্রয়োজন। এদিকে গত ২৬ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছে কারিগরি ও মাদরাসা এমপিওভুক্তির আবেদন কার্যক্রম। ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে এ প্রক্রিয়া।
২০১০ সালে এক হাজার ৬২৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়। এরপর থেকে এমপিওভুক্তি সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল। শিক্ষক সংগঠনগুলোর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ সালে এমপিওবিহীন দেশের ৮ হাজার স্কুল ছিল, আর শিক্ষক ১ লাখ ২০ হাজার। আর্থিক সুবিধা না পাওয়ার কারণে গত ছয় বছরের মধ্যে ২ হাজার স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে।