নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ২৮ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তাকে ভোট দেবেন না বলে জানিয়ে দেয়ায় প্রবীণ আ.লীগ নেতা ও ভোমরা ইউপি সদস্য মোনাজাত গাজীকে হুমকি প্রদানের অভিযোগ উঠেছে জেলা আ.লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদের বিরুদ্ধে। ওই ইউপি সদস্য অভিযোগ করেছেন, গত রোববার সন্ধ্যায় সদরের ৬নং ভোমরা ইউনিয়নের লক্ষ্মীদাড়ী নব-উদয়ন সংঘে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদের নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় প্রার্থী নিজে ভোমরা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মোনাজাত আলী গাজীর কাছে ভোট চাইলে তিনি ভোট দেবেন না বলায় দেখে নেওয়ার হুমকি-ধামকি দিয়েছেন। গতকাল এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ভোমরা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মোনাজাত আলী গাজী এ প্রতিবেদককে বলেন, “আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের রাজনীতি করি। আমি আওয়ামীলীগ নেতা মমতাজ সাহেব, সাকি সাহেব, ইনতাজ সাহেব, ময়না সাহেবের সাথে থেকে দল করেছি। তারা কখনও এমন ব্যবহার করেনি। আমি দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে কোন কিছু পাইনি। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ভোমরা ইউনিয়নের ৩০ বছরের সহ-সভাপতি পদে ছিলামÑ বর্তমানে থানা কমিটির উপদেষ্টা এবং ইউপি সদস্য। ভোমরা ইউনিয়নের লক্ষীদাড়ী নব-উদয়ন সংঘে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদের নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় মুনসুর আহমেদ আমাকে জিজ্ঞাসা করেন- আমার ভাই মোনাজাত কাকে ভোট দেবে। তখন মুনসুর আহমেদের জবাবে আমি বলি আমি জ্বর অবস্থায় এখানে এসেছি। ভাই ভোটটা আমি নজরুল সাহেবকে দেব বলে কথা দিয়ে ফেলেছি। তখন আর সবার কথা জিজ্ঞাসা করলে আমি বলি কে কি করবেÑ আমি জানিনা। এই কথা বলার সাথে সাথে তিনি আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং আমাকে বলেন, দেখে নেব- যদি আমি বেঁচে থাকি। আমার আর যাই হোক জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির পদ তো কেউ কেড়ে নিতে পারবে নাÑ এসব কথা বলে দেখে নেওয়ার হুমকি-ধামকি দিয়েছেন তিনি। আমার তো সময় শেষ, বৃদ্ধ হয়েছি কি আর করব দলের জন্য না হয় জীবন দিয়ে শহিদ হয়ে যাবো। আমার জন্য ভাবিনা। আমার পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবছি। আমার ভাবতে অবাক লাগে কি করে আমার মত একজন প্রবীণ আ.লীগ নেতাকে তিনি কীভাবে হুমকি দিতে পারেন। আমার একটাই আশা জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটাররা যেন একজন ভাল মানুষকে ঐ গুরুত্বপূর্ণ পদে বসান। এ বিষয়ে জানতে জেলা আ.লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী মুনসুর আহমেদ এর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।