বিনোদনের খবর: একজন মুসলিম হিসেবে সবার আগে আমার ধর্ম, একজন বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে সবার আগে আমার রাষ্ট্র। ছোটবেলা থেকে যারা আমাকে কাছ থেকে চেনে জানে তারা অন্তত জানে, আমার নিজস্ব ধর্মীয় অনুভূতি কতটা প্রকট। সিনেমায় অভিনয় করি বলেও ধর্মীয় দায়বদ্ধতা থেকে কখনওই পিছপা হইনি, হওয়ার সম্ভাবনাও নেই। আমি বিশ্বাস করি, ধর্ম হল মনে, ধর্মীয় কর্তব্য পালনে। লোক দেখানো কোনো কিছুতে নয়। আর নাগরিক হিসেবে নাগরিকের দায়বদ্ধতা থেকে দেশের জন্য নাগরিক কর্তব্য পালন করা আমার দায়িত্ব, আমার অধিকার। সে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কতটুকু পেরেছি বা পারছি জানিনা, তবে চেষ্টা করে যাচ্ছি। আর সেই দায়িত্ববোধ থেকেই ‘জান্নাত’ সিনেমাতেও চুক্তিবদ্ধ হই, অভিনয় করি। জান্নাত সিনেমাতে আমার জানামতে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগার মতো কিছুই করা হয়নি। কারণ আমি মানি মুসলিম হিসেবে আমার ইসলাম ধর্মই শ্রেষ্ঠ। আঘাত লাগার মতো সেরকম কিছু হলে সবার আগে আমার অনুভূতিকেই নাড়া দিতো। যাক, ঈদের দিন থেকে ‘জান্নাত’ সাফল্যের চতুর্থ সপ্তাহে এসেও দেশের কোথাও কোনো মানুষ ‘জান্নাত’ নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগার কথাও কেউ বলেনি। সেখানে আজকে সাতক্ষীরায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগার অজুহাতে প্রদর্শনী বন্ধ করে দিয়েছেন স্থানীয় ‘অনুভূতি রক্ষার মশালধারী কর্তাব্যক্তিরা’। অথচ সেন্সরবোর্ড বিনা কর্তনে ছাড়পত্র দিয়েছিল ‘জান্নাত’ কে। যদি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগার মতো কিছু থাকতো তাহলে নিশ্চয়ই সেন্সরবোর্ড ছাড়পত্র না দিয়ে আটকে দিতো। আজ কষ্ট হচ্ছে এই ভেবে যে, ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় প্রবল অনুভূতি ও দায়বদ্ধতা থাকার পরও আমার, আমাদের জান্নাত কিনা অবশেষে ধর্মীয় রাজনীতির শিকার হল। যাক, আল্লাহ্ একমাত্র মালিক, তিনিই সবকিছু ভালো জানেন। শুধু একটু বলবো-আল্লাহ্ যেন উনাদের প্রকৃত ধর্মজ্ঞানে হেদায়েত দান করেন। আমিন…..। (অভিনেতার ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত)