জাতীয়

প্রতি আসনে একটি করে ইভিএম রাখার প্রাথমিক প্রস্তুতি

By daily satkhira

September 15, 2018

দেশের খবর: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব আসনে অন্তত একটি করে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ লক্ষ্যে একটি কার্যবিবরণী তৈরি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আগামীতে সব উপজেলা, সিটি করপোরেশন এবং সংসদের ৩০০ আসনের প্রতিটিতে অন্তত একটি করে ইভিএম ব্যবহার করলে আমাদের এখন থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে। এ কারণে ইভিএম মেলাসহ ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ১৫ অক্টোবরের মধ্যে মেলা করা হবে। মেলায় ঢাকা সিটির প্রতি ওয়ার্ড থেকে ১০ থেকে ১৫ ভোটার আনার পরিকল্পনা রয়েছে। ইসি কর্মকর্তারা জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের পরিকল্পনাকে সামনে রেখে মেলা আয়োজন করতে যাচ্ছে ইসি। ১৫ অক্টোবরের মধ্যে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ মেলা আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। এরই মধ্যে মেলা বাস্তবায়ন ও সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুই দিনব্যাপী মেলায় লোকসমাগম ঘটাতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করছে কমিটি। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের (এনআইডি) মহাপরিচালকে (ডিজি) এ মেলার সার্বিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মেলায় আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের। তবে ইসির মূল অংশীজন রাজনৈতিক দলকে সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না। ইভিএম মেলা বাস্তবায়নে ২৮ আগস্ট সভার আয়োজন করা হয়। সভার কার্যবিবরণী থেকে আরও জানা যায়, ১৫ অক্টোবরের মধ্যে সুবিধাজনক সময়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ মেলা অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, টেলিভিশন, ওয়েবসাইট এবং ফেইসবুকের মাধ্যমে মেলা সম্পর্কে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হবে। এজন্য ইসির ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন পেজ খোলা হবে। প্রথম দিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলবে। দ্বিতীয় দিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। সভায় বড় বড় কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দিয়ে শিক্ষার্থীদের মেলায় অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানানোর সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া ঢাকা মহানগরীর থানা নির্বাচন অফিসগুলো সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের মাধ্যমে প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে ১০ থেকে ১৫ জনের বিভিন্ন বয়সী ভোটারদের একটি করে গ্রুপকে মেলায় আনার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। বিষয়টি সম্পর্কে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার থানা নির্বাচন অফিসাররা তথ্য দেবেন এবং ঢাকা জেলার নির্বাচন অফিসার তা নিশ্চিত করবেন। মেলার খরচ ডাটা শেয়ারিং চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে নেওয়া হবে। সভায় উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজনৈতিক দলগুলোকে মেলায় আমন্ত্রণের বিষয়ে কোন আলোচনা হয়নি। মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। সেখানে চাইলে রাজনৈতিক দলগুলো অংশ নিতে পারবে। তবে সেখানে কোন পরামর্শ গ্রহণ বা আপত্তি জানানোর কোন সুযোগ থাকবে না।