বিদেশের খবর: ভারতের মধ্যপ্রদেশের ভোপালে ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি প্রতিবন্ধী শিশু আশ্রয় কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তিন শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ওই কেন্দ্রের শিশুরা জানায়, দীর্ঘ সময় ধরে তারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছে। এনডিটিভি জানিয়েছে, ওই আশ্রয় কেন্দ্রের তিন বালক ও দুই বালিকা প্রথম সোস্যাল জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের কাছে এ অভিযোগ করে। পরে তারা থানায় এফআইআর করেছে। শিশুদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ আশ্রয় কেন্দ্রের মালিক ৭০ বছরের এক সাবেক সেনাসদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। শিশুদের অভিযোগ, সদনের এক বালক যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়ার পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা গেছে। আরেক শিশুকে যৌন নিপীড়নের সময় দেয়ালে জোরে মাথা ঠুকে তার মৃত্যু হয়। প্রচণ্ড ঠাণ্ডার মধ্যে তৃতীয় আরেক শিশুকে রাতে বাইরে থাকতে বাধ্য করা হলে সেখানে সে মারা যায়। ওই আশ্রয় কেন্দ্রটি ১৯৯৫ সাল থেকে নিবন্ধিত এবং কেন্দ্র পরিচালনার জন্য নিয়মিত তহবিল পায়। সেখানে ৪২ বালক এবং ৫৮ বালিকা বসবাস করে। তাদের বেশিরভাগই শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী, ২০০৩ সাল থেকে তারা সেখানে বাস করছে। গত ১০ বছর ধরে সেখানে স্থায়ী তত্ত্বাবধায় না থাকায় চারজন শিক্ষক কেন্দ্রটির দেখাশুনা করেন। সোস্যাল জাস্টিক ডিপার্টমেন্টের পরিচালক কৃষ্ণা মোহন তিওয়ারি বলেন, শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী কয়েকজন শিক্ষার্থী সঙ্গে ইশারা ভাষা বোঝেন এমন একজনকে নিয়ে আমাদের অফিসে আসে। তারা হোস্টেলের মালিকের বিরুদ্ধে শারীরিক ও যৌন নিপীড়নের অভিযোগ লেখা একটি চিঠি দেয়। আমরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কালেক্টর এবং জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাদের চিঠি লিখেছি। গতমাসে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের সব আশ্রয় কেন্দ্র ও এতিম খানার পরিবেশের ওপর নজর রাখতে মাসিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।