খেলার খবর: বাঁছাই পর্বের বাধা টপকে এশিয়া কাপের মূল পর্বে খেলছে হংকং। আইসিসির এই সহযোগী সদস্য দেশটি পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রোববার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলাটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবারের এশিয়া কাপে ছয় দলের পাঁচটিরই লক্ষ্য শিরোপা জয়। শুধু হংকংয়ের জন্যই শিরোপার স্বপ্ন দেখাটা বিলাসিতা। এ বছর ওয়ানডে মর্যাদা হারানো দেশটি নাটকীয়ভাবে বাছাইপর্ব পেরিয়ে জায়গা করে নিয়েছে এশিয়া কাপে। এশিয়া কাপের বড় মঞ্চটা তাদের জন্য সামর্থ্যরে প্রমাণ দেখানোর সুযোগ। তবে কাজটা মোটেও সহজ হবে না। এ-গ্রুপে দুই পরাশক্তি ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে লড়তে হবে তাদের। খুব বেশি দূরে না তাকিয়ে হংকংয়ের প্রত্যাশা শুধু একটি অঘটনের জন্ম দেয়া। সেই লক্ষ্যে আজ দুবাইয়ে এ-গ্রুপের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি তারা। শুধু এই ম্যাচ নয়, এবারের আসরেই ফেভারিট ভাবা হচ্ছে পাকিস্তানকে। প্রায় এক দশক ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিজেদের হোম ম্যাচ খেলছে পাকিস্তান। ঘরের মাঠে খেলার বাড়তি সুবিধার পাশাপাশি সাম্প্রতিক ফর্মও তাদের অনুকূলে। সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজে জিম্বাবুয়েকে তাদেরই মাঠে ৫-০তে হোয়াইট ওয়াশ করেছে পাকিস্তান। আজকের ম্যাচটি তাদের জন্য কার্যত মহারণের প্রস্তুতি পর্ব। ১৯ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে এশিয়া কাপের সবচেয়ে হাইভোল্টেজ ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান। অগ্নিগর্ভ সেই দ্বৈরথের আগে আত্মবিশ্বাসের জ্বালানি বাড়াতে হংকংয়ের বিপক্ষে সর্বশক্তি নিয়েই ঝাঁপাবেন সরফরাজরা। ওয়ানডেতে দু’দলের আগের দু’ম্যাচেই বড় ব্যবধানে জিতেছে পাকিস্তান। এবারও তার ব্যত্যয় হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। ফখর জামান, ইমাম-উল-হক, বাবর আজম, সরফরাজ আহমেদ ও শোয়েব মালিককে নিয়ে সাজানো পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ দারুণ শক্তিশালী। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে ফখর একাই করেছেন ৫১৫ রান। বোলিং আক্রমণে মোহাম্মদ আমির ও হাসান আলীর সঙ্গে আছেন ফাহিম আশরাফ ও শাদাব খান। আমিরদের সামলাতে হংকংয়ের তিন ব্যাটিং ভরসা বাবর হায়াত, নিজাকাত খান ও অধিনায়ক আংশুমান রাঠকে কঠিন পরীক্ষাই দিতে হবে। তবে অঘটনের আশা ছাড়ছেন না হংকংয়ের পেসার আইজাজ খান, ‘ভারত ও পাকিস্তানের মতো দলের বিপক্ষে খেলার সুযোগ পেয়ে আমরা দারুণ রোমাঞ্চিত। তারা সত্যিকারের বড় দল। কিন্তু আমরাও এখানে লড়াই করতে এসেছি। আমাদের দলেও কয়েকজন ভালো ব্যাটসম্যান ও বোলার আছে। আরব আমিরাতে খেলার অভিজ্ঞতাও আছে আমাদের। ক্রিকেটে যে কোনো কিছুই সম্ভব। আশা করি, বড় একটি অঘটনের জন্ম দিতে পারব আমরা।’ নিজের আদর্শ আমিরের সঙ্গে লড়াই নিয়েও রোমাঞ্চিত আইজাজ, ‘সব সময় আমি মোহাম্মদ আমিরের খেলা অনুসরণ করি। এই প্রথম তার বিপক্ষে খেলব। এ নিয়ে আমি দারুণ রোমাঞ্চিত। নিজের আদর্শের সঙ্গে খেলাটা দারুণ কিছু। কখনও ভাবিনি তার বিপক্ষে খেলার সুযোগ পাব আমি।’ অধিনায়ক আংশুমান রাঠের কণ্ঠেও লড়াইয়ের প্রত্যয়, ‘এখানে আসতে পেরে দলের সবাই রোমাঞ্চিত। আমরা প্রতিটি ম্যাচ ধরে এগোতে চাই। ভালো কিছু করার জন্য সবাই প্রচণ্ড ক্ষুধার্ত।’