নিজস্ব প্রতিবেদক : দীর্ঘদিনের দখলীয় পৈত্রিক দোকানঘর অবৈধভাবে দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে কলারোয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক লাল্টুর বিরুদ্ধে। এঘটনায় ওই দোকানঘরের মালিক ও সাধারণ ব্যবসায়ীদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে বলে জানাগেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, কলারোয়া বাজারের কলারোয়া ফুটবল মাঠ সংলগ্ন বাজারে ৯টি দোকানঘর পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে একই এলাকার মৃত. তাবারক মন্ডলের ছেলে অহিদুজ্জামান মোড়লসহ অন্য ভায়েরা দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর ভোগ দখল করে আসছিলো। সম্প্রতি গত ৭ সেপ্টেম্বর’১৮ তারিখে আকস্মিকভাবে ওই দোকানগুলোর মধ্যে ৪টি দোকানে আগুন লেগে ভূস্মিভূত হয়ে যায়। এতে প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়। গত ১৫ সেপ্টেম্বর দোকান মালিকরা ওই দোকানগুলো সংস্কার কাজ শুরু করলে কলারোয়া উপজেলার আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক একই এলাকার মৃত. আনোয়ার হোসেন সরদারের ছেলে আমিনুল ইসলাম লাল্টু ও তার আলিমুল, আসাদুল, আজিজুল এবং ছেলে আশিক দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা করে। দোকান সংস্কারে বাধা দেয় এবং তাদের মারপিট করে। এঘটনায় মালিক পক্ষ কলারোয়া থানাকে অবহিত করলে থানার তাদের কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে অহিদুজ্জামান গংদের দোকান সংস্কারের অনুমতি দেন। সে মোতাবেক ১৯ সেপ্টেম্বর অহিদুজ্জামান ১৫ সেপ্টেম্বর সকালে পুনরায় দোকানগুলো সংস্কার করতে গেলে উপজেলার আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক একই এলাকার মৃত. আনোয়ার হোসেন সরদারের ছেলে আমিনুল ইসলাম লাল্টু ও তার আলিমুল, আসাদুল, আজিজুল এবং ছেলে আশিক দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা করে। এঘটনায় দোকান মালিক অহিদুজ্জামানের স্ত্রী সেলিনা খাতুন মারাত্মক আঘাত প্রাপ্ত হয়। তার একটি পা ভেঙে যায় এছাড়া অহিদুজ্জামানের ছোট শহীদুল ইসলাম বাবুসহ অনেকে গুরুত্ব আহত হয়। এসময় লাল্টু বাহিনী ওই দোকানগুলো ভাংচুর করে গুড়িয়ে দেয় এবং সংস্কারের জন্য নিয়ে আসা নতুন টিনগুলো খুলে নিয়ে যায়। এছাড়া অহিদুজ্জামান ও তার পরিবারকে বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে। এতে অহিদুজ্জামান ও তার ভায়েরা চরম নিরাপত্তাহীনতা ভুগছে। দোকান মালিক অহিদুজ্জামান লাল্টু বাহিনীর ভয়ে বাড়ি থেকেই বের হতে চাচ্ছে না। এমনকি অহিদুজ্জামান ও তার ভাইয়েরা এতটায় ভীতু হয়ে পড়েছে যে তারা এ বিষয় নিয়ে কারো কাছে মুখ খুলতে চাচ্ছে না। স্থানীয়রা আরো জানান, ওই দোকানগুলো অবৈধভাবে দখল করার জন্যই হয়তো লাল্টু বাহিনী এভাবে রাতের আধারে আগুন লাগিয়ে ছিলো। এ বিষয়ে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মারুফ আহমেদ রবিবার অহিদুজ্জামানদের মারপিটের ঘটনা স্বীকার করে বলেন, ওই সম্পত্তিটি মৃত. তাবারক মন্ডলের ছেলেদের নামে। ছেলেরা দোকানগুলো ভাড়া দিয়ে ভোগ করে আসছিল। কিন্তু সম্প্রতি দোকানগুলো পুড়ে গেলে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও তার ভাইয়েরা ওই সম্পত্তি অহিদুজ্জামানের মৃত বোনের ছেলেদের (ভাগ্নেদের) অংশ আছে মর্মে দখল করতে চাচ্ছেন। এঘটনায় কলারোয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লাল্টু বলেন, এটি মামা ভাগ্নের বিষয়। মামারা ভাগ্নেদের ভাগ ফাঁকি দিয়েছে। তারা তারা মারামারি করছিল আমরা থেকাতে গিয়েছিলাম। এই ছাড়া আর কিছু না। ১৬.০৯.১৮