বিদেশের খবর: দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের আত্মনির্ভরশীল করতে বিপুল অঙ্কের অর্থ দান করে আফ্রিকা মহাদেশের সবচেয়ে বড় দানবীর হতে চান। তিনি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দাঙ্গোতে গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও এবং আফ্রিকার শীর্ষ ধনী অ্যালিকো দাঙ্গোতে। লাখ লাখ মানুষকে দান করার উদ্দেশ্যে ইদিমধ্যেই গড়ে তুলেছেন দাঙ্গোতে ফাউন্ডেশন। এ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এ পর্যন্ত দুই লাখ ৫৬ হাজার ৫০০ নারীর মধ্যে ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন নায়রা (নাইজেরিয়ার মুদ্রা) বিতরণ করেছেন এ ব্যবসায়ী। সম্প্রতি দেশটির মিনা শহরে অ্যালিকো দাঙ্গোতে ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে নতুন একটি ক্ষুদ্র অর্থায়ন প্রকল্পের উদ্বোধনীতে এ সব তথ্য জানান তিনি। দাঙ্গোতে বলেন, নতুন এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হবে আত্মনির্ভরশীল পরিবার গড়ে তোলা। আর এ জন্য মোট ২৫ হাজার সুবিধাবঞ্চিত এবং অরক্ষিত নারীদের প্রত্যেককে ১০ হাজার নায়ার করে নগদ দেওয়া হবে। এ সময় তিনি ঘোষণা দিয়ে বলেন, আমি শুধু আফ্রিকার শীর্ষ ধনী নয়, এ মহাদেশের সবচেয়ে বড় দানবীর হতে চাই। আর এ লক্ষেই অ্যালিকো দাঙ্গোতে ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছি। দাঙ্গোতে গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও বিশ্বের ৬৬তম ধনী। তার নিট সম্পদ ১৪ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার। তিনি আফ্রিকার সবচেয়ে বড় সিমেন্ট কোম্পানি দাঙ্গোতে সিমেন্টের চেয়ারম্যান। তবে বিশাল সম্পদের মালিক হয়েও দাঙ্গোতে এখনও কঠোর পরিশ্রম করেন। তিনি প্রতিদিন মাত্র তিন থেকে চার ঘণ্টা ঘুমান। এমনকি টানা ১৭ বছর কোনও ছুটি কাটাননি কর্মস্থল থেকে। যদিও ২০১৪ সালে ওরল্যান্ডোতে ওয়াল্ট ডিজনি ওয়ার্ল্ডে পরিবারসহ বেড়াতে গিয়ে এ রেকর্ড ভঙ্গ করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে প্রথম অ্যালিকো দাঙ্গোতে ফোর্বস ম্যাগাজিনের দৃষ্টিতে কালোদের মধ্যে সেরা ধনীর স্বীকৃতি পান।