দেশের খবর: সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪২০ জন শিক্ষককে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩৭১ জন পদোন্নতি পেয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং ৫২ জন সহকারী মাধ্যমিক জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হয়েছেন। নিয়োগের ২৭ বছর পর তারা পদোন্নতি পেলেন। সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব (সরকারি মাধ্যমিক) আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন স্বাক্ষরিত পদোন্নতি-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। জানা গেছে, মামলা, পদমর্যাদা পরিবর্তন হওয়াসহ নানা জটিলতায় সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের পদোন্নতি স্থগিত ছিল। এ কারণে গত ৮ বছর ধরে এ পর্যায়ের শিক্ষকরা পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত ছিলেন। নিয়োগের ২৭ বছর পার হলেও এসব শিক্ষকদের পদোন্নতি দেয়া সম্ভব হয়নি। সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের পদটি ১০ গ্রেডে (২য় শ্রেণি) উন্নীত হওয়ায় বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) আওতায় নিয়োগ-পদোন্নতি দেয়ার ক্ষমতা চলে যায়। গত তিন মাস আগে তিনটি পদে মোট ৪২৬ শিক্ষককে পদোন্নতি দিতে সুপারিশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তার ভিত্তিতে পিএসসি মোট ৪২০ জনকে পদোন্নতি দিতে সুপারিশ করে। যা আজ সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এসব শিক্ষকদের পদোন্নতি দিতে প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো। প্রজ্ঞাপনে দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে পদোন্নতি না হওয়া জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের মধ্যে ১৯৮ জনকে সহকারী মাধ্যমিক জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, ১৭৩ জনকে সহকারী প্রধান এবং ১৩০ জনকে সহকারী প্রধান শিক্ষিকা পদে পদোন্নতির জন্য পিএসসিতে চাহিদা দেয়া হয়। তার ভিত্তিতে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে ১৯৬ জন, সহকারী প্রধান শিক্ষিকা পদে ১৭২ জন এবং সহকারী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পদে ৫২ জনসহ মোট ৪২০ জনকে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। ১৯৯১ সালের ২৫ মে আগে যোগদান করা শিক্ষকদের পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। এসব শিক্ষকরা দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে একই পদে কর্মরত ছিলেন। আজ (১৭ সেপ্টেম্বর, সোমবার) থেকেই এসব পদোন্নতি কার্যকর করা হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। সারাদেশে ৪৯৩টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে পুরাতন ৩৩৩টি এবং ১২টি মডেল বিদ্যালয়সহ জাতীয়করণ হওয়া ১৩০টি বিদ্যালয় রয়েছে। সম্প্রতি আরও প্রায় ৩০টি বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করা হয়েছে। সব মিলে বর্তমানে সারাদেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪শ’।