স্বাস্থ্য

যেভাবে জন্ম হয় যমজ সন্তানের

By daily satkhira

September 18, 2018

অনলাইন ডেস্ক: একই গর্ভে দুটি ভ্রূণের একসঙ্গে বেড়ে ওঠা। ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময় কেউ একটু আগে, কেউ একটু পরে পৃথিবীর আলো দেখে। তবে দুজনের গঠন প্রায় একরকমই হয়। কখনও দুটি ভ্রূণ থেকেই দুই কন্যা সন্তানের জন্ম হয়, আবার কখনও দুই পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। তবে দুটি ভ্রূণ থেকে একটি পুত্র সন্তান অপরটি কন্যাসন্তানের জন্মের ঘটনা বিরল। সাধারণত এমনটা ঘটেনা। গর্ভবতী হওয়ার বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া কম বেশি সবারই জানা, তবে গর্ভে যমজের জন্ম দেয়ার বৈজ্ঞানিক দিকটি এখনও সবার কাছে পরিষ্কার নয়। কেউ কেউ যমজ শিশু পছন্দ করেন না। আবার অনেকেই তা খুব পছন্দ করেন। একজন মহিলার যমজ শিশুর ইচ্ছে হলে কী কী করবেন, তা নিয়েই পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

ভিটামিন জাতীয় খাদ্য আহার: টুইনসের (যমজ) জন্ম দেওয়ার প্রাথমিক শর্ত হল, মায়ের সুস্বাস্থ্য। গর্ভবতী হওয়ার আগে যত বেশি পুষ্টি শরীরে থাকবে তা যমজের জন্ম দেয়ার পক্ষে পরিপন্থী। ফলিক অ্যাসিড এক্ষেত্রে সব থেকে উপকারী।

গর্ভবতী হওয়ার অভিজ্ঞতা: কোন মহিলা যদি আগে গর্ভবতী হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে টুইনসের জন্ম দেয়া তুলনামূলক বেশি সাফল্যের। এক্ষেত্রে শিশুর জন্ম দেওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে কোন সমস্যা আছে কিনা, তাও আগে থেকে জানতে পারা যায়।

ডায়েট: দুধ এবং দুগ্ধজাতীয় খাদ্য আহার যমজের জন্ম দেওয়ার জন্য আবশ্যক। গর্ভধারিণীকে অবশ্যই নিজের ডায়েট সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।

বংশ-গতিবিদ্যা: বংশে আগে যমজের জন্ম দেওয়ার অভিজ্ঞতা থেকে থাকলে তা আবারও যমজের জন্মে প্রভাব বিস্তার করে। যাকে ইংরাজিতে বলা হয় জেনেটিক্স। জীনতত্ত্বেই যমজ জন্মের সম্ভাবনা থাকে সর্বাধিক।

বয়স: যমজের জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে শিশুর মায়ের বয়স অবশ্যই ৪০ বছরের নীচে হতে হবে। ৪০ উর্দ্ধ হলেই নারীর গর্ভধারণ ক্ষমতা তুলনামূলক কমতে থাকে।

জন্ম নিয়ন্ত্রণ: এক সন্তানের জন্ম দেয়ার পর পরের সন্তান জন্মের ক্ষেত্রে একটা বড় ব্যবধান আবশ্যিক। জন্ম নিয়ন্ত্রণ দেহের অভ্যন্তরীণ হরমোনকে বেশি শক্তিশালী করে। যার ফলে কোন সন্তান জন্মের অনেক দিন পর ফের গর্ভবতী হলে, যমজ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।