বিনোদনের খবর: কিছুদিন আগে নাটকের শুটিংয়ের জন্য থাইল্যান্ড পাড়ি জমান মডেল ও অভিনেত্রী সাফা কবির। শুটিং শেষে গতকাল বুধবার বিকেলের ফ্লাইটে দেশে ফেরার পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টমসের একদল নিরাপত্তারক্ষীর হাতে হেনস্তার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। ঘটনাটি ঘটে সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটের দিকে। সেসময় তিনি একাই ছিলেন। ক্ষোভ প্রকাশ করে সাফা কবির জানান, বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার ফ্লাইটে থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট সন্ধ্যায় ঢাকাতে পৌঁছান। সেসময় বিমানবন্দরের কাস্টমস অতিক্রম করার সময় একদল সাদা পোশাকধারী নিরাপত্তাকর্মী তাকে তিনটি লাগেজসহ থামান। এরপর নিরাপত্তারক্ষীরা সাফা কবিরকে ‘মিডিয়ার মেয়ে’ বলে কটূক্তি শুরু করেন। একপর্যায়ে তার তিনটি লাগেজ তল্লাশিও করতে চান। নিরাপত্তারক্ষীরা পুরুষ হওয়ায় লাগেজ চেক করতে সাফা কবির আপত্তি করেন। সাফা কবির নারী নিরাপত্তারক্ষীদের মাধ্যমে তার লাগেজ চেক করতে অনুরোধ করলে তারা সে বিষয়টি আমলে না নিয়ে সাফাকে নিয়ে নানা বাজে মন্তব্য করতে শুরু করেন। সাফা বলেন, ‘নারী হিসেবে আমার একটা প্রাইভেসি আছে। তাই কোনো নারী নিরাপত্তারক্ষী দিয়ে আমার লাগেজ তল্লাশি করাতে আমার কোনো আপত্তি ছিল না। কিন্তু সাদা পোশাকধারী ওই নিরাপত্তারক্ষীরা বলেন, মিডিয়ার মেয়ের আবার প্রাইভেসি কীসের? এভাবে কথা কাটাকাটি চলে প্রায় ৩০ মিনিট। একপর্যায়ে একজন নারী নিরাপত্তারক্ষী এগিয়ে এসে আমার লাগেজ তল্লাশি করেন।’
সাফা বলেন, ‘তল্লাশি করে অবৈধ কিছু পেয়ে আটকাতে না পেরে আমার বহন করে আনা জিনিসের ট্যাক্স দাবি করে বসেন তারা। কিন্তু আমার কাছে ট্যাক্স দেয়ার মতো কোনো পণ্য ছিল না। পরে আইনিভাবে আটকাতে না পেরে ছেড়ে দেয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার তিনটি লাগেজে পোশাক ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য সামগ্রী ছিল। নিরাপত্তার নামে আমি হেনস্তার শিকার হয়েছি। নিরাপত্তারক্ষীরা আমাকে সাহায্য না করে বরং চরম অপমান করেছেন। এভাবে হেনস্তা করার সময় আশপাশের অনেক মানুষ জড়ো হয় এবং সেগুলো তারা ভিডিও করেছে। এটা আমার জন্য মানিহানিকর। আমি সংশ্লিষ্ট বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’ যোগ করে আরও বলেন, ‘বিমানবন্দরের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থানে একজন মেয়ে হিসেবে আমি চরম অপদস্থ হয়েছি। মিডিয়ার মেয়ে বলে ওই নিরাপত্তারক্ষীরা আমাকে বাজেভাবে অপমান করেছেন। শিল্পী তো দূরের কথা, দেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমি যথার্থ মূল্যায়ন পাইনি। আমার মতো একজন শিল্পীর যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ প্রতিদিন কীভাবে হেনস্তা হয় ধারণা করা যায়?’ এ বিষয়ে তদন্ত করে ওইসব নিরাপত্তাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন সাফা কবির।