বিনোদনের খবর: চলচ্চিত্র অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরীর গুলশানের বাসায় ভয়াবহ চুরিকাণ্ড ঘটেছে। ১২ লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কারসহ নগদ পাঁচ লাখ টাকা চুরি হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় অভিনেত্রী ও রাজনীতিক কবরী গুলশান থানায় একটি মামলা করেছেন। এ অভিনেত্রী জানান, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তার গাড়িচালক, গৃহপরিচারিকা ও গৃহপরিচারককে গ্রেফতার করেছে গুলশান থানা পুলিশ। তবে ঘটনাটি এক মাস আগের। বৃহস্পতিবার বিষয়টি জানাজানি হয়। বিভিন্ন কারণে বিষয়টি এতদিন সংবাদমাধ্যমকে জানাননি বলে দাবি কবরীর। তিনি বলেন, ‘সন্দেহভাজন কয়েকজন গ্রেফতার হয়েছে। তবে এক মাস পার হয়ে গেলেও মূল সন্দেহভাজন রতন পালকে এখনো ধরা যায়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আশা দেয়া ছাড়া আর কোনো ফিডব্যাক দিতে পারেনি। কেন এমনটা হচ্ছে, তা আমি বলতে পারব না।’ কবরী জানান, চুরির ঘটনাটি তিনি প্রথম টের পান ২০ আগস্ট। এরপর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন তিনি। এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ‘কাঙ্ক্ষিত’ সাড়া না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এ অভিনেত্রী। কবরীর দাবি, ‘পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এই চুরির ঘটনা ঘটানো হয়েছে। চোররা আমার আলমারির নকল চাবি বানিয়েছে। তারপর এ ঘটনা ঘটিয়েছে। যখন ঘটনা ঘটেছে, সে সময় আমি অসুস্থ ছিলাম। মেডিকেলে ভর্তি ছিলাম, যার কারণে এ বিষয়গুলোতে খুব একটা খেয়াল করতে পারিনি। আমার ধারণা, বাসার গার্ড থেকে শুরু করে অনেকেই এর সঙ্গে জড়িত।’ কবরী ঘটনার ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকেও অবহিত করেছেন বলে জানান। এদিকে চুরির ঘটনায় করা এজাহার থেকে জানা যায়, ‘কবরীর পূর্বপরিচিত রতন পাল ১৫ বছর পর গত এপ্রিল মাসে তার বাসায় আসেন। এরপর বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তারপর কবরী তাকে তার বাসায় আশ্রয় দেন। রতন কবরীর গুলশানের বাসায় থাকতে শুরু করেন। ওই সময়টাতে কবরী দেশের বাইরে যান। আর বাসা দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়ে যান তাকে। এরপর ফিরে আসার পর তার কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হলে ২০ আগস্ট কবরী তার বাসার জিনিসপত্র সব ঠিকঠাক আছে কি না, দেখেন। টের পেয়ে রতন পাল কাউকে কিছু না বলে কৌশলে বাসা থেকে পালিয়ে যান।’ ‘বাসার সবকিছু খোঁজার পর একটা সময় কবরী দেখলেন, তার আলমারি থেকে সাতটি সোনার চুড়ি, দুটি সীতাহার, চারটি স্বর্ণের আংটি, যার মূল্য আনুমানিক ১২ লাখ টাকা এবং পাঁচ লাখ টাকাসহ মোট ১৭ লাখ টাকা ও বেশ কিছু মালামাল চুরি হয়ে গেছে।’ ঘটনার পর কবরীর সঙ্গে একাধিকবার রতন পালের মুঠোফোনে কথা হয়েছে। তিনি তাকে তার বাসায় আসার কথাও বলেন। কিন্তু রতন আসেননি। বর্তমানে রতনের মোবাইল নম্বর বন্ধ রয়েছে।