খেলার খবর: দারুণ এক হ্যাটট্রিক উপহার দিলেন আনুচিং মোগিনি। শামসুন্নাহার সিনিয়রও পেলেন জালের দেখা। ফরোয়ার্ডদের নৈপুণ্যে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে শুক্রবার আমিরাতকে ৭-০ গোলে হারায় বাংলাদেশ। গতবার বাছাইয়ে আমিরাতকে ৪-০ গোলে হারিয়েছিল গোলাম রব্বানী ছোটনের দল। দলের জয়ে আনুচিং ৪টি, শামসুন্নাহার ও ইলামনি একটি করে গোল করেন। অপর গোলটি আত্মঘাতী। বাছাইয়ে এ নিয়ে টানা তিন জয় পেল বাংলাদেশ। বাহরাইনকে ১০-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার পর লেবাননকে ৮-০ হারায় দল। অন্যদিকে টানা তিন ম্যাচ হারল আমিরাত। তিন জয়ে ৯ পয়েন্ট বাংলাদেশের। প্রথম ম্যাচে লেবাননকে ৭-০ গোলে হারানো ভিয়েতনামের পয়েন্টও ৯। দুই দলের গোল ব্যবধানও সমান। আগামী রোববার এফ গ্রুপের সেরা হওয়ার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম। আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচে সেরা একাদশে দুটি পরিবর্তন আনেন রব্বানী। মারিয়া মান্ডা ও শামসুন্নাহার জুনিয়রের বদলের নিলুফা ইয়াসমিন নীলা ও রোজিনা আক্তারকে নামান তিনি। পঞ্চম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে নীলার শট অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। একটু পর মুনা হোসাইন ডি-বক্সের ভেতরে তহুরা খাতুনকে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সফল স্পট কিকে দলকে এগিয়ে নেন শামসুন্নাহার সিনিয়র। ২১তম মিনিটে তহুরার শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ফেরান গোলরক্ষক। ২৫তম মিনিটে একজনকে কাটিয়ে তহুরার নেওয়া শট ক্রসবার ফিরিয়ে দিলে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়নি। ২৭তম মিনিটে আঁখি খাতুনের উঁচু করে বাড়ানো বলে আনুচিং মোগিনির হেড দূরের পোস্টের ভেতরের দিকে লেগে জালে জড়ালে দ্বিগুণ হয় ব্যবধান। প্রথমার্ধের প্রায় পুরোটা সময় খেলা হয় আমিরাতের অর্ধে। ৩৪তম মিনিটে দুই জমজ বোনের দারুণ বোঝাপড়ায় স্কোরলাইন হয় ৩-০। ডান দিক থেকে আনাই মোগিনির বাড়ানো বল হেডে লক্ষ্যে পৌঁছে দেন আনুচিং। দুই মিনিট পর দারুণ ব্যাক ভলিতে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন আনুচিং। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে মনিকা চাকমার কর্নারে আলিয়া হুমাইদের হেড করে বিপদমুক্ত করতে গিয়ে নিজেদের জালেই জড়ান। দ্বিতীয়ার্ধেও শুরু থেকে আমিরাতের রক্ষণে চাপ দিতে থাকে বাংলাদেশ। ৪৭তম মিনিটে ডান দিক থেকে মনিকার বাঁকানো শট দূরের পোস্টে লেগে ফিরে। একটু পর সাজেদার হেড পোস্ট ঘেঁষে বাইরে যায়। ৭১তম মিনিটে জোরালো শটে নিজের চতুর্থ গোলটি করে ব্যবধান আরও বাড়ান আনুচিং। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে আনুচিং ক্রসে আঁখির হেড গোলরক্ষক ফেরানোর পর গোলমুখ থেকে সুযোগ কাজে লাগিয়ে স্কোরলাইন ৭-০ করেন ইলামনি।