খেলার খবর: এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে আফগানিস্তানের কাছে পরাজয়ের পর গতকাল সুপার ফোরে ভারতের কাছেও দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। এশিয়া কাপে ওপেনিং জুটি একেবারেই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। ফলে বাধ্য হয়ে বিসিবিকে বিকল্প পথ খুঁজতে হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে সৌম্য সরকারকে যতো দ্রুত সম্ভব দুবাইয়ে পাঠানো হোক- জরুরি এই বার্তা পাওয়ার পরই ঢাকা-দুবাই কাছাকাছি ফ্লাইটের খোঁজ চলে। দুবাই থেকে বিসিবি সূত্রের যা খবর তাতে শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাতটায় দুবাইয়ে যাওয়ার ফ্লাইট ধরবেন সৌম্য। আর তার সাথে থাকছে আরেক ওপেনার ইমরুল কায়েস। শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে বিসিবি আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়, সৌম্য ও ইমরুল এশিয়া কাপে অংশ নিতে দুবাই যাবে। এ বিষয়ে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান বলেন, এশিয়া কাপ দলের দুই ওপেনার লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত রান না পাওয়াতে ডেকে পাঠানো হয়েছে সৌম্য ও ইমরুলকে। তবে জরুরি তলবের বিষয়ে কিছুই জানেন না অধিনায়ক। ভারতের সঙ্গে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এমনটাই জানালেন। মাশরাফি বলেন, ‘আমি মাঠে ছিলাম। এটা জানি না এখনও। এখনও পরিষ্কার নয় আমার কাছে। শুনছিলাম এ রকম কথা, তবে জানতাম না যে হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘যারা (ইমরুল-সৌম্য) আসছে, তারাও কিন্তু দল থেকে বাদ পড়েছিল। আমি এখনও জানি না, আলোচনা হয়নি। তবে ওরাও কিন্তু পারফর্ম না করেই দল থেকে ছিটকে পড়েছিল। হুট করে এই কন্ডিশনে এই ধরনের টুর্নামেন্টে এসে আবার সেই চাপ নিয়ে কতটা পারবে?’ টেকনিক্যালি ওরা কতটা কাজ করেছে জানিনা এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমি জানি না, টেকনিক্যালি ওরা কতটা কাজ করেছে। যেসব সমস্যার কারণে দলের বাইরে গিয়েছিল, তা নিয়ে কাজ করেছে কিনা, জানি না। এগুলো সবকিছুই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে আরও কঠিন বোলারদের খেলতে হবে। এটা নিশ্চিত যে যারা আছে, তাদের জন্য যেমন সহজ হবে না, যারা আসবে তাদের জন্যও সহজ হবে না।’ সতীর্থদের উদ্দেশে মাশরাফি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কঠিন তো সবকিছুই। এর ভেতরেই রান করতে হবে। সবাইকে চেষ্টা করতে হবে। ব্যাটিং-বোলিং, সবই ভালো করতে হবে।’