দেশের খবর: বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যাওয়া ১৬টি মাছ ধরার ট্রলারসহ ৭২ জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। এখন পর্যন্ত ট্রলারডুবির ঘটনায় সাগর থেকে ভাসমান অবস্থায় অন্তত ৭৬ জনকে কোস্টগার্ড ও বিভিন্ন ট্রলারের জেলেরা উদ্ধার করে করেছে বলে জানা গেছে। নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে কোস্টগার্ডের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন কর্মকর্তা লে. জাহিদ আল হাসান শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত সোয়া ৭টার দিকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে সাগর থেকে কূলে ফেরার সময় পটুয়াখালীর ‘এফবি নূরুল আমীন’ নামের একটি ট্রলার ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে ভাসতে থাকে। পরে ট্রলারটি উদ্ধার করে সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের কচিখালীতে নিয়ে আসে কোস্টগার্ড। ট্রলারটির আট জেলেকে অসুস্থ অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা ও খাবার দিয়ে সুস্থ করা হয়। বরগুনা ফিশিং ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. দুলাল মাস্টার জানান, বৃহস্পবিার রাতে বঙ্গোপসাগরের ১ নম্বর ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় তাঁদের এলাকার ৬০ জন জেলেসহ পাঁচটি ট্রলার ডুবে যায়। এর মধ্যে আট জেলে এখনো নিখোঁজ। জাতীয় মৎস্য সমিতির শরণখোলা শাখার সভাপতি মো. আবুল হোসেন রাত সাড়ে ৭টার দিকে জানান, শরণখোলা শহিদুল ফরাজীর এফবি মারিয়া-১ এর দুইজন, তহিদুল তালুকদারের এফবি আজমীর শরীফ-১ এর ১৬ জন, বিলাশ রায় কালুর এফবি সাগর-১ এর ১৭ জন, মালেক মোল্লার এফবি শাওন’র ১৭ জন এবং ইউনুস শিকদারের ট্রলারের ১০ জনসহ ৬২ জেলে ও ট্রলারের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাঁদের ধারণা ট্রলারগুলো ডুবে গেছে অথবা ইঞ্জিন বিকল হয়ে গভীর সাগরে ভেসে গেছে। দুবলা ফিশারমেন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল আহমেদ জানান, সাগরের মান্দারবাড়িয়া এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে ছয়টি ট্রলারডুবির খবর তাঁরা শুনেছেন।