বিনোদনের খবর: ঈদুল আযহার পর বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়নি নতুন কোনো ছবি। বাধ্য হয়ে দর্শকরা দেখছেন পুরনো ছবিই। এদিকে পাশের দেশ ভারতের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যেও প্রায় প্রতি সপ্তাহে মুক্তি পাচ্ছে নতুন নতুন ছবি। এ সপ্তাহেও হলো না তার ব্যতিক্রম। শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) পশ্চিম বঙ্গের সিনেমা হলে মুক্তি পেল দুটি নতুন ছবি। এরমধ্যে একটি বাংলাদেশর তারকা অভিনেতা শাকিব খানের! সেই সাথে এইদিনে বলিউডে মুক্তি পেল তিনটি ছবি। যারমধ্যে আছে বহুল প্রতীক্ষিত ছবি ‘মান্টো’! যা চলবে কলকাতার সিনেমা হলগুলোতেও। কলকাতার শীর্ষস্থানীয় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস’। আর এই প্রযোজনা সংস্থা এবারই প্রথম বাংলাদেশের কোনো নায়ককে দিয়ে তাদের লোকাল প্রোডাকশনের ছবি নির্মাণ করলেন। যদিও সাফটা চুক্তির ভিত্তিতে পশ্চিম বাংলায় মুক্তির দিনেই বাংলাদেশেও ছবিটি মুক্তির চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত নানা জটিলতায় তা সম্ভব হয়নি। তবে কলকাতায় প্রায় দেড়শো প্রেক্ষাগৃহে শাকিব অভিনীত ‘নাকাব’ মুক্তি পেয়ে আলোচনার শীর্ষে। ছবিতে তার বিপরীতে নায়িকা হিসেবে দেখা যাবে কলকাতার নুসরাত ও সায়ন্তিকাকে। কলকাতায় বাংলা ছবির পাশাপাশি হিন্দি ছবির দাপটও বেশ। আর নতুন ছবি হলেতো কথায় নেই! আর তার উপর নন্দিতা দাশের নির্মাণে ‘মান্টো’ ছবির মূল ভূমিকায় আছেন বলিউডের প্রখ্যাত অভিনেতা নওয়াজ উদ্দিন সিদ্দিকী। কলকাতায় যিনি ভীষণ জনপ্রিয়। বেশ কয়েকটি ছবির শুটিংয়েও এরআগে বহুবার কলকাতায় এসেছিলেন নওয়াজ। তাছাড়া বাংলা সিনেমা কিংবা সাহিত্যের সাথেও নওয়াজের সম্পর্ক নতুন নয়। এদিক থেকেও বাঙালি দর্শকের সহানুভূতি পাবেন তিনি। আর ‘মান্টো’ ছবির প্রচারণায় গেল সপ্তাহেই নন্দিতা ও নওয়াজ ঘুরে গিয়েছেন কলকাতা। এসব থেকে বোঝা যাচ্ছে শাকিবের ‘নাকাব’-এর চেয়ে ‘মান্টো’ ছবিটিও নিয়েও কলকাতার মানুষের উচ্ছ্বাসের কমতি নেই। তবে অনেকে বলছেন, ‘মান্টো’র দর্শক আর ‘নাকাব’-এর দর্শক সম্পূর্ণই ভিন্ন। তবে এমন খবরে হাফ ছেড়ে বাঁচার উপায় নেই। কারণ শাকিবের ‘নাকাব’-এর সামনে ‘বাত্তিগুল মিটার চালু’ নিয়ে হাজির বলিউডের হার্টথ্রব অভিনেতা শহীদ কাপুর। কারণ, শুক্রবার ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের মতো কলকাতায় বেশকিছু প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে শহীদ অভিনীত ছবিটি। যেখানে তার সাথে দেখা যাবে শ্রদ্ধা কাপুর ও ইয়ামি গৌতমের মতো জনপ্রিয় অভিনেতাদের। এছাড়াও কলকাতায় এদিন আরো একটি নতুন ছবি মুক্তি পেয়েছে। ছবির নাম ‘নূপুর’। রণদীপ সরকার পরিচালিত ছবিটি শতবর্ষী প্রেমলীলার কাহিনিকে কেন্দ্র করে চিত্রায়িত।