খেলার খবর: শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৩৭ রানের বিশাল জয়ে শুরু হয়েছিল টাইগারদের এশিয়া কাপ মিশন। এরপরই যেন স্বর্গ থেকে মর্ত্যে পতন। গ্রুপের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে অলআউট ১১৯ রানে, হার ১৩৬ রানের। সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে অলআউট ১৭৩ রানে, পরাজয়ের ব্যবধান ৭ উইকেট। পরপর দুই ম্যাচে হারলেও এখনো বেঁচে আছে টাইগারদের ফাইনাল খেলার সম্ভাবনা। তবে জিততে হবে নিজেদের পরের দুই ম্যাচ, মেলাতে হবে কিছু সমীকরণ। তবেই তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে খেলতে পারবে বাংলাদেশ দল। কিন্তু এজন্য আগে দরকার দায়িত্বশীল ব্যাটিং ও স্মার্ট ক্রিকেটের প্রদর্শনী। প্রথম তিন ম্যাচের একটিতেও স্বস্তির ব্যাটিং করতে পারেনি বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ মিঠুনের জুটি না হলে সেদিনও দেখা মিলতো ব্যাটিং বিপর্যয়ের। তবে এসব নিয়ে আর ভাবতে রাজি নন টাইগার অধিনায়ক। এরই মধ্যে টানা দুই ম্যাচ হেরে ব্যাকফুটে বাংলাদেশ। রোববার সুপার ফোর রাউন্ডে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচের মধ্য দিয়েই নিশ্চিত হয়ে যাবে টাইগারদের ভাগ্য। হেরে গেলে কঠিনতর হয়ে যাবে ফাইনাল খেলার স্বপ্ন। বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফিও জানেন আফগানিস্তান ম্যাচের গুরুত্ব। এই এক ম্যাচ জিততে পারলেই বদলে যাবে দলের পরিস্থিতি, বদলে যাবে পারিপার্শ্বিক সমীকরণও। ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেও সে কথাই জানান মাশরাফি বিন মর্তুজা। তিনি বলেন, ‘একটা ম্যাচই সবকিছু বদলে দিতে পারে। আমরা এখনো টুর্নামেন্টে টিকে আছি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে পরের দেখায় আমাদের ভালো করতে হবে। শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের কারণে তাদের হারানো কঠিন। তবে আমরা যদি ২৬০-২৭০ রান করতে পারি তাহলে অবশ্যই তাদের হারাতে পারবো। আমাদের বোলিং এখনো পর্যন্ত ঠিক আছে, ব্যাটিংটাই মূল চিন্তার বিষয়।’ অধিনায়কের ব্যাটিং চিন্তা লাঘবে দেশ থেকে দুই টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকারকে দুবাই পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। তিন ম্যাচেই ওপেনারদের ব্যর্থতার কারণেই তড়িঘড়ি করে উড়িয়ে নেয়া হচ্ছে এ দুজনকে। তবে এ ব্যাপারে জানতেন না টাইগার অধিনায়ক। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তাকে এটি জানানো হলে বলেন, ‘ আমি মাঠে ছিলাম। কাদের নেয়া হয়েছে তা জানিনা এখনো। স্কোয়াডে দুইজন খেলোয়াড় অন্তর্ভুক্তির বিষয়টিও পরিষ্কার নয় আমার কাছে। শুনেছিলাম এ রকম কথা, তবে জানতাম না যে হয়ে গিয়েছে।’