দেশের খবর: গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন বলেছেন, দেশের জনগণের চলাফেরার স্বাধীনতা নেই। তাই তারা দিশেহারা। দেশের জনগণ সুশাসন দেখতে চায়, একটি নিরাপদ ও স্থিতিশীল সমাজ নিশ্চিত করতে চায়। কার্যকর গণতন্ত্র ও আইনের নিরপেক্ষ প্রয়োগের মাধ্যমে সুশাসন দেখতে চায়। আমরা জনগণের বাংলাদেশ গড়তে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। আজ শনিবার রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। কামাল বলেন, দেশের স্বাধীনতায় বলা হয়েছে- জনগণ সব ক্ষমতার মালিক। কিন্তু আজ দেশের মানুষ ভোটাধিকার, মানবাধিকার, সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। এসব অধিকার পুনোরুদ্ধার করতে হলে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমি আশা করবো আজকে যারা এই নাগরিক সমাজে এসেছেন তারা জনগণের অধিকার নিয়ে কথা বলবেন এবং কাজ করবেন। ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন বিকল্প ধারা বাংলাদেশের সভাপতি ও যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে উপস্থিত জনতার উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা জাতীয় ঐক্যের অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে এসেছি। শ্লোগান বন্ধ করে সুশৃঙ্খলভাবে অবস্থান করে সহযোগিতা করবেন অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য। এদিকে সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দিদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। সমাবেশে অন্যদের মধ্যে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আব্দুল মঈন খান, জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যর আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফার) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সদস্য সচিব আ ব ম মোস্তফা আমিন, বিজেপি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, গণ ফোরামের সাধারণ নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর প্রমুখ বক্তব্য দেন।