বিদেশের খবর: পাকিস্তানকে আবারো সন্ত্রাসবাদের দায়ে অভিযুক্ত করলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বার্ষিক ‘কান্ট্রি রিপোর্ট অন টেররিজম ২০১৭’-এ যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, পাকিস্তান এখনও সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে রয়েছে।
তারা অভিযোগ করেছে যে পাকিস্তান জয়েশ-এ-মোহাম্মদ ও লশকর-এ-তৈয়েবার মতো সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়নি। এ সমস্ত সংগঠন ভারতে সন্ত্রাসী হামলার চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে বলে ভারতও অভিযোগ জানিয়ে আসছে।
প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্র উল্লেখ করে যে পাকিস্তান লশকর প্রধান এবং ২৬/১১ মুম্বাই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সাইদকে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে গ্রেপ্তার করে। পরে এক আদালতের নির্দেশে একই বছরের নভেম্বরে মুক্তি দেয়। এছাড়া জয়েশ ও লশকরকে প্রকাশ্যে ফান্ড ও জনবল সংগ্রহ এবং প্রশিক্ষণ ক্যাম্প চালানো ঠেকাতে সফল হয়নি পাকিস্তান।
রিপোর্টে বলা হয়, ইসলামিক স্টেট খোরাসান গত বছর দেশটিতে ৪৩টি বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এর মধ্যে কিছু হামলা অপরাপর জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে মিলেমিলে করে। দেশটিতে সক্রিয় সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো কার্যসিদ্ধির ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিশেষ কায়দা-কৌশল অনুসরণ করে বলেও জানানো হয় প্রতিবেদনে।
এসবের মধ্যে আছে স্টেশনারি অ্যান্ড উইক বর্ন ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (ভিবিআইইডিএস), আত্মঘাতী বোমারু, ব্যক্তি, স্কুল, সরকারি স্থাপনা, উপাসনালয় ও বাজারে রকেট-গ্রেনেড হামলা। রিপোর্টে এটাও বলা হয় যে পাকিস্তান সেনাবাহিনী এখন বেশ শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। দেশটির সরকার বেসামরিক লোকজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে মামলা চালাতে সেনা আদালতে আরো দুই বছরের অনুমোদন দিয়েছে।
তবে সমালোচকদের মতে, আসল উদ্দেশ্য সাধনে সামরিক আদালত পারঙ্গম নয় এবং এর প্রয়োগ সিভিল সোসাইটিকে চুপ রাখার স্বার্থে চলছে। মার্কিন রিপোর্টে বলা হয়, ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স বারবার একথা বলে আসছে যে জাতিসংঘের তালিকভুক্ত সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর ফান্ড সংগ্রহ ঠেকাতে পারছে না।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে লশকরের সঙ্গে যুক্ত একটি সংগঠনকে রাজনৈতিক দল হিসেবে রেজিস্ট্রি করতে বাধা দেয় পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। টাইমস অব ইন্ডিয়া