জাতীয়

সিনহার বইয়ের নেপথ্যে মীর কাসেমের ভাই

By daily satkhira

September 23, 2018

দেশের খবর: সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার কাছে বই লেখার প্রস্তাব ও অর্থ প্রদানের বিষয়টি চূড়ান্ত করেন শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী এবং বিচারে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত মীর কাশেমের ভাই মীর মাসুম। ঢাকায় বসে লেখাটি তৈরি করেন বিএনপি-জামায়াতপন্থি কিছু ব্যক্তি। পরবর্তী সময় মোট ২১টি ফাইলে এসব লেখা আমেরিকা পৌঁছানো হয়। লেখাগুলোর সংশোধন ও পরিমার্জন করেন আমেরিকায় অবস্থানকারী আওয়ামী লীগ বিরোধী কতিপয় ব্যক্তি, যার মধ্যে রয়েছেন দুই জন সাংবাদিক ও একজন অধ্যাপক। এ জন্য এক সাংবাদিককে একটি দামি গাড়ি উপহার দেন মীর মাসুম। নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকার মালিকের অফিসে বসে সব ষড়যন্ত্রের কাজ সম্পন্ন হয়। ষড়যন্ত্রমূলক এ কার্যক্রম অনেক দিন ধরেই চলে আসছে। একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এদিকে ঢাকায় বদিউল আলম মজুমদারের বাড়ির ঘটনাটি পরিকল্পনা করা হয় নিউইয়র্কের একটি অফিসে বসেই। শোনা যায়, সেখানে বদিউল আলম মজুমদারও উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার ৬ দিন আগে এটি চূড়ান্ত হয়। আমেরিকা থেকে সংশোধিত ও পরিমার্জিত ২১টি ফাইল ঢাকায় এনে দেখানো হয় কামাল হোসেনকে। এরপর চূড়ান্ত কপিগুলো আবারো পাঠানো হয় আমেরিকায়। প্রক্রিয়াটির সঙ্গে ঢাকার শীর্ষ পত্রিকার একজন প্রতিষ্ঠিত সাংবাদিকের জড়িত থাকার কথাও শোনা গেছে। জানা গেছে, বই লেখার জন্য সিনহাকে টাকা দেয়া, বইয়ের প্রকাশনা খরচ ইত্যাদি দেয় মীর মাসুম। বইটি যাতে ব্যাপক প্রচার লাভ করে তা নিশ্চিত করার দায়িত্বটিও মীর মাসুমের। বইটির কপি ইতোমধ্যেই ঢাকায় পৌঁছেছে। ফটোকপি করে এটি ব্যাপক প্রচারের প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে ইতোমধ্যে।

ড. কামাল হোসেন আগেই জানতেন: এদিকে শনিবার বার কাউন্সিল ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন জানান, সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বইটি প্রকাশের ব্যাপারে দিনকয়েক আগে সুপ্রিম কোর্ট বারের অডিটোরিয়ামে বক্তব্য দেয়ার সময় ড. কামাল হোসেন বলেই ফেলেন, এস কে সিনহা তথ্য নিয়ে আসছেন অল্প দিনের মধ্যে। এর অর্থ, তাদের মধ্যে একটা আগাম যোগাযোগ ছিল, বই বের হবে।

বিদেশে বসে ‘আ ব্রোকেন ড্রিম: রুল অব ল, হিউমান রাইটস এন্ড ডেমোক্রেসি’ শিরোনামে আত্মজীবনীমূলক বই লেখেন সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। নানা বিতর্কের জন্ম দিয়ে ২০১৭ সালের ১৪ অক্টোবর দেশ ছাড়েন তিনি। বইয়ে তিনি দাবি করেন, সরকার দলীয় হুমকির মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি।