বিনোদনের খবর: সিনেমার সোনালি দিনগুলো যেন আর চোখেই পড়ে না। সেসব যেনো এখন ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই নিয়েছে। সেই সাথে ব্যবসা সফল সিনেমাও দেখা যায় না। হঠাৎ বজ্রপাতের মত ‘আয়নাবাজি’ এবং ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবির সাফল্য আসলেও এরপর আর নতুন কিছু পাওয়া যায়নি। তবে চলতি বছরে মুক্তি পাওয়া ‘পোড়ামন-২’ বেশ ভালোই ক্যারিশমা দেখিয়ে চলেছে। ছবিটি মুক্তির পর সর্বাদিক দিন ধরে প্রদর্শিত সিনেমার ইতিহাসেও ঠাঁই করে নিলো। ১০০ দিন পেরিয়েও হলে প্রদর্শিত হচ্ছে দর্শক চাহিদায়। এর আগে ‘বেদের মেয়ে জোসনা’সহ বেশ কিছু সিনেমাই মুক্তির কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত হলে চলেছে। আর সাম্প্রতিককালে ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবিটি চলেছিল ৭৭ দিন। তবে জাজ মাল্টিমিডিয়া প্রযোজিত ও রায়হান রাফি পরিচালিত ‘পোড়ামন ২’ ছবিটি আজ রোববার ১০২ দিনের মত হলে চলছে। গেলো ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেলেও ঈদুল আযহা পেরিয়ে এখনো ১৮টি হলে চলছে এ ছবিটি। এ ছবিতে অভিনয় করে রীতিমত বাজিমাত করেছেন নবাগত নায়ক সিয়াম আহমেদ। পর্দায় তার সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন পূজা চেরি। তিনিও বেশ প্রশংসিত হয়েছেন অভিনয়ে। অনেকেই এই জুটিকে নব্বই দশকের সালমান-শাবনূরের আমেজে খুঁজে পেয়েছেন। রাজধানীর বসুন্ধরা সিনেপ্লেক্স ও ব্লকবাস্টার সিনেমাতে ঈদুল ফিতর থেকে ঈদুল আযহা পর্যন্ত যথাক্রমে টানা ১৫ সপ্তাহ ধরে চলেছে ছবিটি। ঢাকাই ছবির জন্য এটা অনেক বড় রেকর্ড বলে মানছেন ছবিটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজ। ঈদের ছবি না হয়েও এর আগে সিনেপ্লেক্সে সর্বাধিক সপ্তাহ প্রদর্শিত হওয়া ছবির মধ্যে ছিলো অমিতাভ রেজা পরিচালিত ‘আয়নাবাজি’। ছবিটি স্টার সিনেপ্লেক্সে চলেছিল টানা ২৪ সপ্তাহ প্রদর্শিত হয়েছিল। আর দীপঙ্কর দীপন পরিচালিত ছবি ‘ঢাকা অ্যাটাক’ স্টার সিনেপ্লেক্সে একটানা ১১ সপ্তাহ প্রদর্শিত হয়েছিল। স্টার সিনেপ্লেক্সের মিডিয়া ও বিপণন বিভাগের কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘আয়নাবাজি’ ও ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবি দুটি ঈদে মুক্তি পায়নি। ‘পোড়ামন ২’ হচ্ছে ঈদের ছবি। ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশের কোনো ছবি এই প্রথম এতোদিন ধরে চলছে।’’ প্রথম ছবিতেই দর্শকের ভালোবাসায় মুগ্ধ চিত্রনায়ক সিয়াম। উচ্ছ্বসিত সিয়াম বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ! এখনো ছবিটি ভালো যাচ্ছে। রেকর্ডের কথা বলবো না, দর্শকরা আমাদের ছবিটাকে সাদরে গ্রহণ করেছেন, এখনো ছবিটি দেখছেন এটাই অনেক বড় পাওয়া। আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ।’ এদিকে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে সিয়াম-পূজার ‘দহন’ ছবিটি। এটিও নির্মাণ করেছেন নির্মাতা রায়হান রাফী।