দেশের খবর: রাজধানীসহ সারাদেশে সরকারি মেডিকেল কলেজ ও আসন সংখ্যা বাড়লেও কমেছে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তিচ্ছু ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা। গত বছর সরকারি ৩১টি মেডিকেল কলেজের ৩ হাজার ৩১৮টি আসনে ভর্তির জন্য মোট ৮২ হাজার ৭৮৮ শিক্ষার্থী আবেদন করেন। এদিকে নেত্রকোনা, নওগাঁ, নীলফামারী, চাঁদপুর ও মাগুরায় নতুন সরকারি পাঁচটি মেডিকেল কলেজের প্রতিটিতে ৫০ জন করে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া পুরোনো অন্য সরকারি মেডিকেল কলেজে নতুন করে মোট ৫০০ আসন বাড়ানো হয়েছে। ফলে নতুন ও পুরোনো মিলিয়ে মোট ৩৬টি সরকারি মেডিকেল কলেজে আসন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে মোট ৪০৬৮টি। স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীনে কেন্দ্রীয়ভাবে রাজধানীসহ সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন শাখা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর এমবিবিএস প্রথম বর্ষে ভর্তির আবেদনের সময়সীমা শেষ হয়। চলতি বছর মোট আবেদনপত্র জমা পড়েছে ৬৫ হাজার ৯১৩টি। গতবারের চেয়ে আবেদনকারীর সংখ্যা ১৬ হাজার ৮৭৫ জন কম। চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবদুর রশীদ বলেন, অপেক্ষাকৃত কম খরচে অধিক সংখ্যক মেধাবি শিক্ষার্থীর সরকারি মেডিকেল কলেজে পড়াশুনার সুযোগ করে দিতে নতুন পাঁচ সরকারি মেডিকেল কলেজ খোলা ও পুরোনো মেডিকেল কলেজে ৫০০ আসন বাড়ানো হয়েছে। বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি ফি ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকা লাগলেও সরকারি মেডিকেল কলেজে নামমাত্র খরচে পড়াশুনা করার সুযোগ পান। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পুরোনো ৮টি সরকারি মেডিকেল ঢাকা, সলিমুল্লাহ, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশালে আসন বাড়ানোর ফলে এবার ২২০ জন করে শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ থাকবে। আসন বাড়ায় চলতি বছর শহীদ সোহরাওয়ার্দীতে ১৭৫ জন, খুলনা, বগুড়া, কুমিল্লা, ফরিদপুর ও দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে ১৬০ জন করে, পাবনা, কক্সবাজার, নোয়াখালী ও যশোরে ৭০ জন করে, সাতক্ষীরা, কিশোরগঞ্জ, কুষ্টিয়া, গোপালগঞ্জ, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, জামালপুর, মানিকগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ও মুগদা মেডিকেল কলেজে ৬৫ জন করে ভর্তির সুযোগ পাবে। তবে হবিগঞ্জ, রাঙামাটি ও পটুয়াখালীতে আসন সংখ্যা বাড়েনি। এ তিনটি মেডিকেল কলেজে আগের মতো ৫১ জন করে শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবেন। সরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা ও আসন বাড়লেও আবেদনকারীর সংখ্যা কমার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবদুর রশীদ বলেন, গত বছরের চেয়ে ১৬ হাজারেরও কম আবেদন জমা পড়েছে। চলতি বছর জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমার কারণে আবেদনকারীর সংখ্যা কম হতে পারে বলে মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, আগামী ৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার সামগ্রিক প্রস্তুতি চলছে।