প্রেস বিজ্ঞপ্তি : আমার মেয়েকে শয়তানরা ভারতে পাচার করে দিয়েছে। এ খবর শুনে আর স্থির থাকতে পারিনি। চাকুরি ফেলে ওমান থেকে বাড়ি ফিরে এসেছি। তবু গত ২২ দিনেও উদ্ধার করতে পারিনি মেয়েকে। অথচ পাচারকারীরা দিব্যি বাড়িঘরে থাকছে। হঠাৎ ঝালমুড়ি বিক্রেতা থেকে তারা বেশ টাকার মালিক হয়ে গেছে। ওরাই আমার স্কুল পড়–য়া মেয়েটিকে ভারতে পাচার করে বিক্রি করে দিয়েছে। রোববার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা মাঠপাড়া গ্রামের দরিদ্র ভ্যানচালক কওছার আলি ও তার স্ত্রী শরিফা খাতুন। কান্নাজড়িত কন্ঠে তারা বলেন আমাদের মেয়ে মেঘলা খাতুন (খুকুমনি)। স্থানীয় মাদ্রাসায় সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। গত ১ সেপ্টেম্বর সে বাড়ি থেকে বের হয়। আর ফিরে আসেনি। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া গেছে বারবার। হতাশার এক পর্যায়ে বিষয়টি জিডি হিসাবে সাতক্ষীরা থানা পুলিশকে অবহিত করি গত ১০ সেপ্টেম্বর। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন পাথরঘাটা গ্রামের আসাদুলের স্ত্রী আমাদের মেয়েটিকে ভারতে নিয়ে বিক্রি করে দিয়েছে বলে আমরা খবর পেয়েছি। আমাদের মেয়েকে সরিয়ে দেওয়ার সময় তিন চারদিন আসাদুলের স্ত্রী বাড়িতে ছিল না। তাকে গ্রেফতার করা হলে আসল তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে জানান তারা। মেয়েটির মা শরিফা খাতুন জানান আমাদের গরিব পরিবার। ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে ওমান গিয়েছিলাম। সেখানে চাকুরি করে যা পেতাম তা বাড়ি পাঠাই। এতেই চলে সংসার। স্বামী ভ্যান চালিয়ে আর কত টাকাই বা আয় করবেন। তিনি বলেন আমার এ সুখ সইলো না। আমার নিরীহ প্রকৃতির মেয়েটিকে অপহরন করে ভারতে পাচার করেছে শয়তানের দল। আমি তাদের বিচার চাই। একই সাথে মেয়েটিকে উদ্ধারের জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের সহযোগিতা কামনা করছি।