বিদেশের খবর: বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রবিবার ভোট প্রদানের সময় তিনঘণ্টা বৃদ্ধি করে মালদ্বীপের নির্বাচন কমিশন। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের উপপ্রধান আহমেদ আকরাম এ সম্পর্কে বলেন, ভোটারদের বিপুল উপস্থিতির কারণে দেশের ভেতরে ও বাইরে সবগুলো ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণের সময় তিনঘণ্টা বৃদ্ধি করা হয়েছে। কারণ, সব ভোটকেন্দ্রেই ভোটাররা লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন। ফলে সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ শেষ হয় স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায়, যা পূর্বে বিকেল ৪টায় শেষ হওয়ার কথা ছিল। সোমবার সকালে কমিশন ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, পপুলার ভোটের ৫৮.৩ শতাংশ নিজের পক্ষে নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন সোলিহ। ফল ঘোষণার পর ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ইয়ামিনের শিবির থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে এরইমধ্যে বিজয় উদযাপন শুরু করেছে বিরোধী শিবির। সোলিহর দল মালদ্বীপের ডেমোক্র্যাটিক পার্টি-এমডিপির হলুদ পতাকা হাতে নেমে পড়েছেন তার সমর্থকরা। রাস্তায় নেচেগেয়ে নিজেদের বিজয় উদযাপন করছে তারা।
পর্যবেক্ষকদের আশঙ্কা ছিল, নির্বাচনে ইয়ামিনের পক্ষে কারচুপি করা হচ্ছে। ইয়ামিনের সরকারের বিরুদ্ধে ভিন্নমত দাবিয়ে রাখার অভিযোগ পুরনো। এমনকি নির্বাচনের ঠিক আগের দিন রাতেও বিরোধী জোটের সদর দপ্তরে পুলিশি অভিযান চালানো হয় ‘ঘুষপ্রদান এবং ভোট প্রক্রিয়া প্রভাবিত করা’র ঘটনার তদন্তের অংশ হিসেবে। তা সত্ত্বেও বুথ ফেরত জরিপেই বিরোধী জোটের প্রার্থীর বিজয়ের আভাস স্পষ্ট হয়েছিল। কমিশন ফল ঘোষণা করার আগেই স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছিল, ৪৭২টি আসনের মধ্যে বিরোধী জোট ৪৩৭টিতে জয় পেয়েছেন। বুথফেরত জরিপ শেষে সম্মিলিত বিরোধী জোটের প্রার্থী ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ নিজেকে বিজয়ী দাবি করেছিলেন। বর্তমান প্রেসিডেন্টের থেকে ১৬ শতাংশ বেশি ভোটের ব্যবধানে তাদের জয় সুনিশ্চিত জানিয়ে, ক্ষমতাসনীন প্রেসিডেন্ট ইয়ামিনকে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। সে সময় মালেতে তিনি বলেন, আমরা এই নির্বাচনে সহজ জয় পেয়েছি। এখন আনন্দের সময়। এখন আশা সময়। এটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আমরা ন্যায়সঙ্গত ও শান্তিপূর্ণ মালদ্বীপ গড়ে তুলব। আমি সকল মালদ্বীপবাসীর প্রেসিডেন্ট হবো। তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইয়ামিনকে বলব, জনগণের রায়কে মেনে নিয়ে দ্রুত ক্ষমতা হস্তান্তর করতে।