অনলাইন ডেস্ক: শ্বশুরকে গাছে বেঁধে তার সামনেই তার পুত্রবধূকে নগ্ন করে মারধরের পর যৌনাঙ্গে মরিচের গুঁড়া দিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। ভারতের আসামে চলতি মাসের শুরুর দিকের ওই ঘটনা সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়েছে বলে আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। রাজ্যের করিমগঞ্জে আদিবাসী অধ্যুষিত মাগুরা গ্রামে নির্যাতনের শিকার নারী করিমগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অভিযোগ করার পর ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আসাম পুলিশের ডিজি কুলধর সইকিয়া বলেন, পুলিশে অভিযোগ জানালে ভয়ঙ্কর পরিণতি হবে বলে ওই নারীকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। আমরা ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছি। বাকি অভিযুক্তদেরও শিগগিরই গ্রেফতার করা হবে। ওই নারী অভিযোগপত্রে লিখেছেন, ‘১০ সেপ্টেম্বর সকালে আচমকাই দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে পড়ে ৬-৭ জন যুবক। দাবি করে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় পাওয়া ৮৫ হাজার টাকা তাদের দিয়ে দিতে হবে। আমি অস্বীকার করতেই বেআইনি মদ বিক্রির অভিযোগ তুলে মারধর শুরু করে। তার মধ্যেই বাড়িতে জড়ো হন গ্রামবাসীরাও। আমার শ্বশুরকে গাছে বেঁধে ফেলে ওরা। তার সামনেই আমাকে নগ্ন করে চলে মারধর। শেষে আমার যৌনাঙ্গে মরিচের গুঁড়া ঢুকিয়ে দেয়। টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর ওই অবস্থাতেই আমাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় সবাই।’ করিমগঞ্জের পুলিশ সুপার গৌরব উপাধ্যায় জানিয়েছেন, অত্যাচার, গণপিটুনি-সহ একাধিক ধারায় মামলা করে তদন্ত শুরু হয়েছে। ভিডিও তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে আলাদা মামলা হয়েছে। তিনি জানান, এ ঘটনায় আর কারা কারা যুক্ত, তা চিহ্নিত করে গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে।