নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ ১৯৮৭ সালের ৩০ মার্চ সাতক্ষীরা শহরতলীর বাকালে এক ভ্যান চালকের ছেলে ইসলামকে পুড়িয়ে হতা পরবর্তী ভূমিহীনদের অধিকার আন্দোলন প্রতিষ্ঠায় অ্যাড. আব্দুর রহিমের ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। এ আন্দোলনে শরীক হয়ে সংগঠণকে শক্তিশালী করেছিলেন কৃষক নেতা সাইফুল্লাহ লস্কর, অধ্যাপক আবু আহম্মদ, কলেজ শিক্ষক আনিছুর রহিম, অ্যাড. আবুল কালাম আজাদ, আব্দুস সাত্তারসহ কয়েকজন ব্যতিক্রমধর্মী মানুষ। পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালের কালিগঞ্জের বাবুরাবাদে ভূমিহীনদের উচ্ছেদ প্রতিরোধ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন অ্যাড. আব্দুর রহিম। পরবর্তীতে পুলিশ, ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত ভূমিহীন জাহেদার মিছিল পরবর্তী ভূমিহীন আন্দোলনের গতি বাড়াতে জেলা নাগরিক কমিটির প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ও জাপা নেতা হিসেবে তার ভূমিকা অবিষ্মরনীয়। ভূমিহীন আন্দোলনকে রুখে দিতে পুলিশ ও ভূমিদস্যুরা সাইফুল্লাহ লস্করকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে এ কথাটি প্রথম জোরালো কণ্ঠে বলেছিলেন আব্দুর রহিম। ১৯৫২ সালের ভাষা আনোদালনে তিনি রাজপথে থেকে আন্দোলন করেছিলেন। কলেজে শিক্ষকতা করাকালিন নয়, আইনজীবী পেশায় নিয়োজিত থাকাকালিন তিনি সাতক্ষীরার জলাবদ্ধতা নিরসন, রাস্তা সংস্কার, বিদ্যুতের লোডশেডিংসহ সামাজিক উন্নয়নে তার কতা অস্বীকার করা যাবেনা। সকলে মিলে তার কর্মজীবনে ফেলে যাওয়া পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করতে পারলে তার বিদেহী আত্মা শান্তি পাবে। সোমবার সকাল ১১ টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আব্দুর রহিমের ষ্ষ্ট মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। জেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক আনিছুর রহিমের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শেখ আজাহার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান আশু, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও নাগরিক কমিটির সদস্য সচীব অ্যাড. আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারি, জেলা বাসদের সমন্বায়ক অ্যাড. আজাদ হোসেন বেলাল, কলারোয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আরাফাত হোসেন, মরহুমের ছেলে আনোয়ার জাহিদ তপন, জাসদ নেতা সরদার কাজেম আলী, ওবায়দুস সুলতার বাবলু, সিপিব নেতা আবুল হোসেন প্রমুখ।