দেশের খবর: যেসব রাজনৈতিক দল গত সংসদ নির্বাচন ও এরপর অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করেনি, তাদের নিবন্ধন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। সে হিসেবে বিএনপির নিবন্ধন ঝুঁকি মধ্যে রয়েছে বলেও জানান তিনি। মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে দুপুরে সাংবাদিকদের একপ্রশ্নের জবাবে সচিব এসব কথা বলেন। কোনো রাজনৈতিক দল পরপর দুই সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে তাদের নিবন্ধনের কি হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল যদি একটি আসনেও নির্বাচন না করে তাহলে ‘নিবন্ধন আইন’ অনুযায়ী তাদের নিবন্ধন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায়। তবে আরো অনেকগুলো ক্রাইটেরিয়া থেকে যায়। কতগুলো দলের নিবন্ধন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সেটি পরিসংখ্যান করা হয়নি। সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ৩০ অক্টোবরের পরে যেকোনো দিন তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। আর ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখেছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। ‘আমরা প্রস্তুতি হিসেবে ভোটকেন্দ্রের তালিকা পেয়েছি। এ নির্বাচনের জন্য ৪০ হাজার ১৯৯টি কেন্দ্রের তালিকা পেয়েছি। এগুলো মোটামুটি ফাইনাল হয়ে গেছে। তফসিল ঘোষণার পর রিটার্নিং কর্মকর্তার দেয়া তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে। এছাড়া আজ থেকে ভোটার তালিকার সিডি পাঠানো হচ্ছে। আজকে খুলনা ও সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে পাঠাবো। বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে এক সপ্তাহের মধ্যে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে যতগুলো শাখা রয়েছে। প্রতিটি শাখার সঙ্গে আমরা কথা বলছি। নির্বাচনে কোথাও যাতে কোনো ভুল-ভ্রান্তি না হয়। সে বিষয়ে তাদের নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। সামনে নির্বাচন কমিশন সভায় যাতে সব ধরনের তথ্য তুলে ধরা যায়, সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। হেলালুদ্দীন আরো বলেন, যারা ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কাজ করবেন, তাদের তথ্যগুলো আমরা সংগ্রহ করছি। এদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছি। তফসিল ঘোষণার পরপরই এ প্রশিক্ষণ করানোর পরিকল্পনা করা করছি। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ অঞ্চল ভিত্তিক বা জেলাতে হবে। এছাড়া নির্বাচনের সময় প্রশাসনে প্রত্যাহারের পাশাপাশি বদলির বিষয়টি আরপিওতে যুক্ত করা হয়েছে। প্রত্যেক জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলা প্রশাসকরা রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এবার এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানান ইসি সচিব। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সম্পর্কে তিনি বলেন, সরকারি, বেসরকারি অফিস, ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়োগ দেয়া হবে। ৩০০ আসনের একসঙ্গে নির্বাচনের জন্য অনেক ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার দরকার হয়। ইতোমধ্যে যারা প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছেন, নিরপেক্ষ ব্যক্তি এবং যাদের বিরুদ্ধে দলীয় তকমা লাগার অভিযোগ নেই, এমন লোকদের নিয়োগ দেয়া হবে। সচিব আরো বলেন, আরপিও সংশোধন না হলে বিদ্যমান আইনে নির্বাচন করা হবে।