সাতক্ষীরা

প্রেসক্লাবে বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবস পালন

By daily satkhira

December 15, 2016

নিজস্ব প্রতিবেদক: একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে যারা জীবন দিয়েছেন তারা এদেশের সূর্য সন্তান। তারা মরেও চির অমর হয়ে থাকবেন। তাদের আত্মাহুতির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের বিজয় সূচিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয়ের এই চেতনা বুকে ধরে রাখতে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির বিচার বাস্তবায়ন করতে হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস পালন উপলক্ষে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সমাবেশে এসব কথা বলেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন মুক্তিযুদ্ধ শেষে চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে ঘাতকরা দেশের বুদ্ধিজীবী সন্তানদের হত্যা করে জাতিকে মেধাশুন্য করতে চেয়েছিল। তারা বেছে বেছে নিরাপরাধ বাঙ্গালিকে হত্যা করে পাকিস্তানি শাসন শোষণ অব্যাহত রাখার শেষ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছিল। বাঙ্গালি জাতিকে বীর সন্তানদের এই আত্মত্যাগ চিরস্মরণে রাখতে হবে বলে বক্তারা উল্লেখ করেন। প্রেসক্লাব সভাপতি এড. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন সারাদেশই তো বধ্যভূমিতে পরিনত হয়েছিল। পাকিস্তানি বাহিনী ও এদেশের ঘাতক দালাল রাজাকার ও আল বদররা মিলিতভাবে নিরস্ত্র বাঙ্গালির ওপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল। তারপরও তাদের শেষ রক্ষা হয়নি। ১৬ ডিসেম্বর তারা মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্ম সমর্পন করে নিজেরাই প্রমান করে যে গণহত্যা চালিয়ে তারা ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টা করেছিল তা ব্যর্থ হয়েছে। তারা মুক্তিযুদ্ধকালিন বিভিন্ন স্মৃতিকথা তুলে ধরেন এবং নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ চেতনা ধারনের আহবান জানান। একই সাথে সাতক্ষীরার  সবগুলি বধ্যভূমিকে সংরক্ষণ করে শহীদ স্মৃতি গড়ে তোলার আহবান জানান। এর আগে শহীদ সন্তানদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সাংবাদিক সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী ও অধ্যক্ষ আনিসুর রহিম, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: আবদুল বারী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, মমতাজ আহমেদ বাপী, এম কামরুজ্জামান ও মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, সাংবাদিক শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন, ইয়ারব হোসেন, মো. আমিনুর রশীদ, মো: রবিউল ইসলাম, মোশাররফ হোসেন, এবিএম মোস্তাফিজুর রহমান, সেলিম রেজা মুকুল, শেখ ফরিদ আহমেদ ময়না, মো. আবদুল জলিল প্রমুখ। এ সময় বিভিন্ন পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক ও ফটো সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।