নিজস্ব প্রতিবেদক : অর্থ আত্বসাত, জাল জালিয়াতিসহ একাধিক অভিযোগে অভিযুক্ত সদ্য চাকুরিচ্যুত উপাধ্যক্ষ মোঃ ইমদাদুল হক জেলার স্বনাধন্য একমাত্র ইংলিশ ভার্ষন স্কুল পিএন বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুলের সুনাম নষ্ট করার জন্য নতুন করে মাঠে নেমেছে। স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক ও অভিভাবকের যোগসাজগে স্কুলের আশেপাশে ইংলিশ ভার্ষন কোচিং সেন্টার করার জন্য পায়তারা চালাচ্ছে। সূত্র জানায়, জেলার ঐতিহ্যবাহী ও একমাত্র ইংলিশ ভার্ষণ স্কুল পিএন বিয়ামের সদ্য চাকুরিচ্যুত উপাধ্যক্ষ মোঃ ইমদাদুল হক নিজে এসএসসি পাশ হয়েও দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন। অজ্ঞাত কারণে এর কোন প্রতিকার হয়নি। বহাল তবিয়্যতে ছিলেন তিনি। অর্থ আত্মসাত, সার্টিফিকেট জাল জালিয়াতিসহ একাধিক অভিযোগে অভিযুক্ত থাকার অপরাধে নিশ্চিত বরখাস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় কৌশলে তিনি নিজেই পদত্যাগ করেন। কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে ইমদাদুল হকের জাল জালিয়াতির অবসান ঘটলেও আবারো নতুন পরিকল্পনা করে স্কুলের সুনাম নষ্ট করার পায়তারা চালাচ্ছে সে। জানা গেছে, নিজে এসএসসি পাস হয়েও সার্টিফিকেট নকল করে দীর্ঘদিন ধরে জাল জালিয়াতির উপর দাড়িয়ে ছিলো মোঃ ইমদাদুল হক। সূত্র আরো জানায়, কোচিং সেন্টার খোলা ও কোচিংয়ের জন্য ছাত্র-ছাত্রী জোগাড় করতে বিভিন্ন সময়ে সম্প্রতি চাকুরিচ্যুত হওয়া মোঃ ইমদাদুল হক পিএন বিয়াম স্কুলের আশে পাশে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যাচ্ছে। আশাশুনি উপজেলার হাবাসপুর গ্রামের সাজ্জাদ আলী ছেলে ইমদাদুল হক কৌশলে পদত্যাগ করার ফলে তিনি চাকুরিচ্যুত হওয়ার পরে কোন ধরনের অনিয়ম দূর্ণীতি ছাড়ায় সুষ্ট পরিবেশের মধ্যে দিয়ে স্বনামধন্য স্কুল পরিচালিত হচ্ছে সকল উদ্যাম নিয়ে। কিন্তু এই সেই ইমদাদুলে চক্রান্ত থেমে নেই। এবার কোচিং বাণিজ্য করতে মাঠে নেমেছে। জেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে জাল সনদের অভিযোগে চাকুরিচ্যুত মোঃ ইমদাদুল হক আর যেন কোন চক্রান্ত করতে না পরে সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সচেতন মহল। এব্যাপারে অভিযুক্ত ইমদাদুল হকের ব্যাবহৃত মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। এব্যাপারে স্কুলের অধ্যক্ষ ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তহমিনা খাতুন জানান, মোঃ ইমদাদুল হক এসএসসি পাশ হওয়ায় তিনি নিজেকে যোগ্য মনে না করায় তিনি নিজেই পদত্যাগ করেছেন। কোচিং সেন্টারের ব্যাপারটি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান তিনি।