খেলার খবর: এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দলের মিশ্র পারফরম্যান্স। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দুর্দান্ত এক জয়ে শুরু। তারপর আফগানিস্তান ও ভারতের বিরুদ্ধে বাজে হার। তবে শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৩ রানের নাটকীয় জয়ে আবারও উজ্জীবিত হয়েছেন টাইগাররা। সুপার ফোরে আজ শেষ ম্যাচ খেলতে আবুধাবিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। দুই দলের পয়েন্টই ২ করে। ফাইনালে যেতে হলে জয়ের বিকল্প নেই।
তবে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে এগিয়ে বাংলাদেশ। সবশেষ তিন দেখায় তিনটিতেই জয় পেয়েছে টাইগাররা। ঢাকায় পাকিস্তানকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল মাশরাফির দল। তবে ওই দলের সঙ্গে বর্তমান দলের পার্থক্য অনেক। ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা ঘরে তুলে পাকিস্তান। সেই দলটির বিপক্ষেই আজ খেলবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ম্যাচটি শুরু হবে।
এই দুই দলের পরিসংখ্যান বলছে-
১. দুই দল এখন পর্যন্ত ওয়ানডে খেলেছে ৩৫টি। বাংলাদেশের জয় ৪টি আর পাকিস্তানের জয় ৩১টি ম্যাচে।
২. এশিয়া কাপে দুই দল খেলেছে ১২টি ম্যাচ। মহাদেশীয় এ টুর্নামেন্টে পাকিস্তানকে কখনো হারাতে পারেনি বাংলাদেশ।
৩. দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে সবথেকে বেশি রান করেছেন মোহাম্মদ ইউসুফ। পাকিস্তানের প্রাক্তন ব্যাটসম্যান ১৮ ম্যাচে করেছেন ৮৯৩ রান।
৪. সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি সালমান বাটের দখলে। ২০০৮ এশিয়া কাপে ১৩৬ রান করেছিলেন পাকিস্তানের বাঁহাতি ওপেনার।
৫. তামিম ইকবাল সর্বোচ্চ ৮টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন।
৬. দুই দলের ম্যাচে রানের হিসেবে সবথেকে বড় জয়টা পাকিস্তানের দখলে। ২৩৩ রানে জয়ের রেকর্ড আছে তাদের। উইকেটের হিসেবেও সবথেকে বড় জয় পাকিস্তানের। বাংলাদেশের বিপক্ষে একবার ১০ উইকেট হাতে রেখে জিতেছিল পাকিস্তান।
৭. দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে সবথেকে বেশি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন মোহাম্মদ ইউসুফ। ডানহাতি এ ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরি ৩টি।
৮. দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে সবথেকে বেশি উইকেট পেয়েছেন শহীদ আফ্রিদি। ডানহাতি এ স্পিনার পেয়েছেন ৩২ উইকেট।
৯. দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে সবথেকে বেশি ক্যাচ নাসির হোসেনের। ৭টি ক্যাচ নিয়েছেন নাসির।
১০. দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে সবথেকে বেশি ম্যাচ খেলেছেন শহীদ আফ্রিদি। ২১টি ম্যাচ খেলেছেন আফ্রিদি। বাংলাদেশের হয়ে মাহমুদউল্লাহ ও মাশরাফি সর্বোচ্চ ১৭ করে ম্যাচ খেলেছেন।