অনলাইন ডেস্ক: টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পাকুল্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই প্রধান শিক্ষক থাকায় প্রশাসনিক কার্যক্রমে জটিলতাসহ শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পরেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার পাকুল্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। দুই প্রধান শিক্ষকের মধ্যে মোহাম্মদ ওমর আলী (চলতি দায়িত্ব) বাদী হয়ে শিক্ষা সচিবসহ পাঁচজনকে আসামি করে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল-৩ ঢাকায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর দেখা দিয়েছে জটিলতা। এ নিয়ে এলাকায় বিরাজ করছে উত্তেজনা। মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সচিব, মহাপরিচালক, টাঙ্গাইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও মির্জাপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়। প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল-৩ এর মামলার বিবরণে জানা গেছে, মামলার বাদী মোহাম্মদ ওমর আলী গত ২৫ জুন প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদায়ন পান। ৩০ জুন বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। এরপর টাঙ্গাইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল আজিজ মিয়া ১০ জুলাই মোহাম্মদ ওমর আলীকে পাকুল্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে মির্জাপুর উপজেলার মস্তমাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলী করেন। একই তারিখে মো. রুমেজ উদ্দিনকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে ওই বিদ্যালয়ে নতুন করে যোগদানের নির্দেশ প্রদান করেন। এদিকে মামলার পর ট্রাইব্যুনালের বিচারক বদলীর আদেশ স্থগিত করেন বলে মামলার বিবরণে জানা গেছে। স্থগিতের পর মোহাম্মদ ওমর আলী পাকুল্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবস্থান করছেন। পাশাপাশি মো. রুমেজ উদ্দিন প্রধান শিক্ষক হিসেবে একই বিদ্যালয়ে অবস্থান করছেন। এ ব্যাপারে মামলার বাদী মোহাম্মদ ওমর আলী বলেন, সরকারি বিধিমোতাবেক পদায়ন পেয়ে এলাকার দূরত্ব হিসেবে পাকুল্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথমে যোগদান করেছি। আমাকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে বদলী করায় আমি আইনগতভাবে মামলা করি। মামলায় আমার পক্ষে রায় হয়। অপরদিকে প্রধান শিক্ষক মো. রুমেজ উদ্দিন বলেন, আমি জোর করে এখানে আসেনি। জেলা শিক্ষা অফিস আমাকে বদলী করে যোগদান করতে বলেছে। আমি যোগদান করে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছি। এখন যে জটিলতা দেখা দিয়েছে তার সমাধান করবে শিক্ষা অফিস। এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও পাকুল্যা ক্লাস্টারের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান বলেন, প্রধান শিক্ষক মো. ওমর আলীকে বদলী করে মস্তমাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেওয়া হয়েছে। তারস্থলে মো. রুমেজ উদ্দিনকে পাকুল্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ওমর আলী যে মামলা করেছেন, তার কোন বৈধতা নেই। মামলার বিরুদ্ধে আপিলের প্রস্তুতি চলছে। দুই একদিনের মধ্যে আপিল করা হবে।