অনলাইন ডেস্ক: এশিয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন পারকাশ বলেছেন, আর্থিক ভিত্তি মজবুত থাকায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এখন ভাল এবং এ কারণে চলতি অর্থবছরে ৮ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হবে। বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে সংস্থার আবাসিক কার্যালয়ে ‘এশিয়ান আউটলুক ২০১৮, আপডেট’ প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি ভাল অবস্থায় আছে এবং চলমান উচ্চপ্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকবে। ধারাবাহিকভাবে গত ৩ বছর ধরে ৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। এখন সেটা ৮ শতাংশে উন্নীত হওয়ার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। এডিবির জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ সুন চান হং এবং প্রিন্সিপাল কান্ট্রি স্পেশালিস্ট জয়তসানা ভারমা হালনাগাদ আউটলুক ও বাংলাদেশে এডিবির কার্যক্রমের ওপর পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন। বিগত অর্থবছরে ৭ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের শক্ত ভিত্তি থাকায় চলতি অর্থবছরে ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে উল্লেখ করে মনমোহন পারকাশ বলেন, হ্যা, এটা অবশ্যই সম্ভব। আমাদের শক্ত ভিত্তি আছে এবং আমরা তা অর্জনের কাছাকাছি রয়েছি। তবে এর জন্য বিচক্ষণ সামষ্টিক আর্থিক নীতি ও ঋণ ব্যবস্থাপনা দরকার এবং মানবসম্পদ ও নতুন প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করতে হবে। বাংলাদেশের এসব খাতে এডিবির আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। পারকাশ বলেন, ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব। তবে এর জন্য অবশ্যই একই ধরনের নীতি সহায়তা ও পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। বিদেশি বিনিয়োগ ও বেসরকারিখাতে বিনিয়োগ বাড়াতে ‘ডুয়িং বিজনেস’ বা ব্যবসায় পরিবেশের আরো উন্নতি ঘটাতে হবে। এডিবির হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, আমদানি কিছুটা কমলেও রফতানি প্রবৃদ্ধি এখনও কিছুটা শ্লথ ধারায় রয়ে গেছে। অন্যদিকে শিল্পখাতে উচ্চ প্রবৃদ্ধি চলমান থাকায় তা স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি অর্জনে অবদান রাখছে। এছাড়া বেসরকারিখাতে ভোগের পরিমাণ এবং অবকাঠামোখাতে সরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক হচ্ছে। পাশাপাশি প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগেরও অবদান রয়েছে। সরবরাহের দিক থেকে কৃষি ও শিল্পখাতের সম্প্রসারণ প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে। তবে স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষা, আর্থিক ও পরিবহনখাতে শ্লথ প্রবৃদ্ধি থাকায় সেবাখাতের প্রবৃদ্ধি শ্লথ হয়েছে। এডিবির হালনাগাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,দেশের সামষ্টিক আর্থিক ব্যবস্থাপনা যথেষ্ট ভাল। মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫ দশমিক ৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। চলতি হিসাবে ঘাটতি বেড়েছে। তবে গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ অত্যন্ত ভাল করেছে বলে পারকাশ মন্তব্য করেন।