আশাশুনি প্রতিবেদক: আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুর ভূমি অফিসের দায়িত্বে থাকা নায়েবের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার ঘুষ বাণিজ্যের দৌরত্ম যেন বেড়েই চলেছে। সাধারণ মানুষ থেকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি কেউ বাদ পড়ছে না তার এই ঘুষ বাণিজ্যের কবল থেকে। সরেজমিনে, দরগাহপুর ভূমি অফিসে গিয়ে দেখা যায় ঘুষ বাণিজ্যের নানা নয়া কৌশল। নায়েব শ্যামল কান্তি নিরবে নিত্য নতুন কৌশলের মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছেন ঘুষের টাকা। এসএ খতিয়ানের পর বর্তমান চুড়ান্ত প্রকাশিত বিআরএস খতিয়ান সরকারি গেজেটভুক্ত হলেও নতুন এই খতিয়ানের উপর খাজনা দাখিলা নিতে গেলে জনসাধারণকে দিতে হচ্ছে মোটা অংকের টাকা। আবার কোন কোন খতিয়ানের উপর পেন্সিলে ভিপি শব্দ লিখে রেখে খাজনা দাখিলা দেওয়া বন্ধ রাখছেন। পরবর্তীতে নায়েবের সাথে দেনদরবার করে চাহিদা মাফিক টাকা দিলে ইরেজারের এক ঘোষাতে ভিপি শব্দটি মুছে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে খাজনা দাখিলা। বাংলা সনের ১৪২৪ পর্যন্ত খাজনা দাখিলা পরিশোধ করা থাকলেও ১৪২৫ সনের খাজনা দাখিলা নিতে গেলে জনসাধারণকে আজ-কাল-পরশু করে ঘোরানো হচ্ছে। আবার কখনও কখনও দাখিলা বইয়ের পাতা শেষ, ডিসি স্যারের ভিজিট, এসিল্যান্ড স্যারের সাথে মিটিং নয়তো নিজের শরীর খারাপের ওজুহাতে ঘোরানো হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এমনই ভোগান্তির শিকার হওয়া আজিজুল হক নামের এক ব্যক্তি প্রতিবেদককে বলেন, আমার সব কিছু ঠিক থাকার পরও ১৪২৫ সালের চেক নিতে আমাকে এক সপ্তাহ নায়েবের অফিসে ঘুরতে হয়েছে। অবশেষে ঘুষ প্রদানের মাধ্যমে আমি গোলক ধাঁ-ধাঁ থেকে মুক্তি পেয়েছি। তিনি আরও বলেন, আমিতো একটু হলেও লেখাপড়া জানা লোক, তাই আমার অবস্থা যদি এই হয় তাহলে লেখাপড়া না জানা মানুষের কি অবস্থা হচ্ছে? নায়েব দোষী প্রমাণিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে তিনি দেন দরবারের মাধ্যমে মঞ্জুরুল ইসলামের সাথে আপোষ দফারফা করে নেন। অপর দিকে নায়েব শ্যামল কান্তির বিরুদ্ধে উঠে আসা ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ প্রসঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে বন্ধ পাওয়া যায়।