স্বাস্থ্য কণিকা: স্তন ক্যান্সার নারীদের কাছে একটি আতংকের নাম। স্তন ক্যান্সারের রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। স্তন ক্যান্সার থেকে দূরে থাকতে হলে সচেতনতাই প্রথম কথা। পুরুষের চেয়ে নারীদের স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে শতভাগ বেশি। নারীরা তাদের নিজেদের এই গোপন অঙ্গের রোগগুলো সহজে বলতে চান না। ফলে তারা স্তন ক্যান্সারের মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। স্তন ক্যান্সার বুঝবেন যেভাবে স্তন ক্যান্সারের প্রধান রোগ নির্ণায়ক হল নিজে নিজে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে স্তন পরীক্ষা। প্রথম এক স্তন পরে অন্য স্তন, বগলের নিচেসহ। হাল্কাভাবে হাতের তালু দিয়ে স্তন চাপ দিয়ে অনুভব করতে হবে কোন চাকা, দলা, গোটা আছে কিনা। এরপর চামড়া, বোঁটা, রং এর পরিবর্তন, দানা, বোঁটা কুচকানো, ভেতরের দিকে ঢুকানো কিনা ইত্যাদি লক্ষ করতে হবে।
কিছু খাবার রয়েছে যা স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ সাহায্য করবে। আসুন জেনে নেই এমন কিছু খাবার সম্পর্কে।
ব্রোকলি ব্রোকলিতে সালফ্রোফেইন নামক উপাদান আছে যা স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে। প্রতিদিনকার খাদ্য তালিকায় ব্রোকলি রাখুন।
মাশরুম নিউট্রোসিয়ান এন্ড ক্যান্সার ২০১০ সালের প্রকাশিত সমীক্ষায় দেখা গেছে, মাশরুম খাওয়া স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি অনেকখানি হ্রাস করে থাকে। মাশরুমে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্টসমূহ ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে।
ডালিম যুক্তরাষ্ট্রের সিটি অফ হোপস বেকম্যান রির্সাস ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিকদের মতে ডালিমে এ্যালাজিক অ্যাসিড, অ্যান্টি অক্সিডেন্টসমূহ যা ক্যান্সার সৃষ্টি করা এনজাইমকে প্রতিরোধ করে থাকে। ডালিম শুধু ক্যান্সার নয় হৃদরোগের ঝুঁকিও হ্রাস করে থাকে।
পালং শাক মেনোপজের আগে নারীরা স্তন ক্যান্সার হওয়ার সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকেন। পালং শাকে হজমযোগ্য আঁশ আছে যা স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে।
ডিম ডিম স্তন ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে থাকে। কোলিন নামক উপাদান ২৪% পর্যন্ত ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের জরিপ অনুসারে ডিমের কুসুমে থাকা উপাদানটি স্তন কোষের কাজ সঠিকভাবে পরিচালনা করে থাকে।
দুধ এবং দুগ্ধ জাতীয় খাবার ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ খাবার দুধ। এই দুধ এবং দুগ্ধ জাতীয় খাবার ১৯% পর্যন্ত স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে।
স্যামন মাছ স্যামন মাছে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড উপাদান ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে। প্রতিদিনকার খাদ্য তালিকায় স্যামন মাছ রাখুন। শুধু স্যামন মাছই নয় বরং সবরকমের সামুদ্রিক মাছ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।