অনলাইন ডেস্ক: চীনের উচ্চাভিলাষী প্রকল্প ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’কে (ওবিওআর) টেক্কা দিতে নতুন এশিয়া কৌশল আনছে ইউরোপ। চীনা অবকাঠামো প্রকল্পের লোভে ঋণের জালে ফেঁসে যাচ্ছে এশিয়ার দেশগুলো। ঋণের ভাগাড় থেকে তাদের টেনে তুলতে চীনের বিকল্প নয়া কৌশল নিয়ে আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছে আঞ্চলিক নেতারা। আগামী ১৮-১৯ অক্টোরব বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ১২তম এশিয়া-ইউরোপ সম্মেলনে (আসেম)। দু’দিনব্যাপী এ সম্মেলনে জোটের ৫৩ সদস্য রাষ্ট্র নতুন ‘এশিয়া সংযোগ কৌশল’ চুক্তিতে স্বাক্ষর করবে বলে জানা গেছে। খবর এএফপির। ইউরোপের কূটনৈতিক প্রধান ফেডেরিকা মোঘেরিনি বলেন, ‘কয়েক মাস ধরে এশিয়ার নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। ইউরোপের নতুন কৌশল বাস্তবায়নে তারা আগ্রহী।’ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য হবে কর্মসংস্থান তৈরি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও স্থানীয় সম্প্রদায়ের অগ্রগতি নিশ্চিত করা।’ ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট জ্যঁ ক্লদ জাঙ্কারও চীনা প্রকল্পের বিরোধী। এ অঞ্চলের অর্থনীতিকে ত্বরান্বিত করতে ইউরোপের পররাষ্ট্রনীতিকে আরও বলিষ্ঠ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বিশ্বের প্রায় অর্ধেক অংশকে এক সংযোগে আনার প্রত্যয় নিয়ে ২০১৩ সালে ওবিওআর প্রকল্পের ঘোষণা দেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এ প্রকল্পের জন্য পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় ধার্য করেন তিনি। পাশাপাশি তার দেশ এ প্রকল্পে ছয় হাজার কোটি ডলার দেবে বলেও প্রতিশ্র“তি দেন জিনপিং। ইতিমধ্যে বিশ্বের বহু দেশ চীনের ঋণের ফাঁদে পড়েছে। বড় বড় অবকাঠামো তৈরির জন্য অর্থ নিয়ে শোধ দিতে পারছে না। শ্রীলংকা, পাকিস্তান, মালয়েশিয়ার মতো এশিয়ার দেশগুলো এ প্রকল্পে অর্থ ঢেলেছে। হাম্বানটোটা সমুদ্রবন্দরের উন্নয়নের জন্য চীনকে ৯৯ বছরের জন্য ইজারা দিয়েছে শ্রীলংকা। বন্দরটি সংস্কারে প্রয়োজনীয় ১০৪ কোটি ডলার ব্যয়ে অক্ষম হওয়ায় বেইজিংকে ইজারা দিতে বাধ্য হয়েছে দেশটি। মালয়েশিয়া চীনের সহায়তায় তিনটি প্রকল্প উন্নয়নের জন্য দুই হাজার কোটি ডলার ঋণ নিয়েছে। কিন্তু পরে কীভাবে সে অর্থ পরিশোধ করা হবে তা নিয়ে চিন্তিত দেশটি। পাকিস্তানের নতুন ইমরান খান সরকার চীনের অর্থ নিয়ে বেশ আশাবাদী। কিন্তু ঋণ পরিশোধ নিয়ে শঙ্কিত ইসলামাবাদ।