নিজস্ব প্রতিবেদক : সদর উপজেলার বাবুলিয়া জে.এস.মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি আব্দুল হান্নানের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের অর্থ তছরূপসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় এলাকাবাসীর পক্ষে থেকে শাহাদাত হোসেন সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা অফিসার, খুলনা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক অধিদপ্তর, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন। শত অভিযোগের স্বর্তেও পুনরায় ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে সভাপতি হওয়ার অপচেষ্টা লিপ্ত রয়েছেন ওই দুর্নীতিবাজ আব্দুল হান্নান। স্থানীয়রা জানান, বিগত ২০১৫ সালে কাশেমপুর এলাকার আব্দুল হান্নান বিদ্যালয়টির সভাপতি নির্বাচিত হন। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সভাপতি তার নিজস্ব নিয়োগকৃত ক্যাশিয়ারের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষককে ম্যানেজ করে শিক্ষক ও কর্মচারীদের চার বছর যাবৎ স্কুল প্রদত্ত সম্মানী না দিয়ে প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন। চলতি সালের এস, এস, সি নির্বাচনী পরীক্ষায় অকৃতকার্য ছাত্র/ছাত্রীদের নিকট থেকে মাথাপিছু দুই হাজার টাকা গ্রহণ করে তা আত্মসাৎ। জেলা পরিষদের প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতিষ্ঠান থেকে ৭০ হাজার টাকা গ্রহণ করে আত্মসাৎ করেন এবং ইং ২০১৫-২০১৬-২০১৭ সনের জন্য বিদ্যালয়ে নিজস্ব পুকুর ইজারা প্রদান করেন কুচপুর গ্রামের মোঃ আহসান হাবীবের কাছে ১লক্ষ ২৩ হাজার টাকা আদায় করে প্রতিষ্ঠানের হিসাবে জমা না দিয়ে সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করেন। ধর্মীয় শিক্ষক রাইহান এবং লাইব্রেরিয়ান আব্দুল জলিলকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই বরখাস্ত করে। পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষক ও লাইব্রেরিয়ান তদন্ত সাপেক্ষে জুলুমপূর্বক আদায়কৃত অর্থ আদায়। স্কুলের অনুকূলে বরাদ্দকৃত গভীর নলকূপ বাবদ ৯০ হাজার টাকা কোন কাজ না করেই সভাপতি আব্দুল হান্নান আত্মসাৎ করেন। ২০১৬,২০১৭,২০১৮ ইং সনে প্রতিষ্ঠানের ছাত্র/ছাত্রীদের হাতে নিম্ন মানের বই ধরিয়ে অসাধু বই ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা গ্রহণ। ২০১৫,২০১৬ ইং অর্থ বছরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দকৃত ৭৪,হাজার টাকার বিল্ডিং নির্মাণ কাজের জন্য ঠিকাদারের নিকট থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে নিম্ন মানের কাজের সহযোগিতা করিয়াছেন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি আব্দুল হান্নান। প্রতি বছর শিক্ষা সফরের নামে বিদ্যালয় তহবিল থেকে টাকা গ্রহণ করিয়া শুধুমাত্র তাহার পরিবার সহ মাইক্রোবাস যোগে সফর করেন। ভোটারসহ স্থানীয় অভিভাবকরা আব্দুল হান্নানের বিরুদ্ধে থাকলেও তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার সাহস পায়না। তার বিরুদ্ধে প্রার্থী হতে চাইলে তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়াসহ বিভিন্ন ধরনের হয়রানি করেন আব্দুল হান্নান। বাবুলিয়া জে এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি রক্ষার্থে এলাকাবাসী বিদ্যালয়ের সভাপতি হিসাবে আব্দুল হান্নান কে আর দেখতে চান না। আগামী বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির নির্বাচনে একজন সৎ ও শিক্ষিত ব্যক্তিকেই নির্বাচিত করতে চান। এঘটনায় আব্দুল হান্নানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী। এবিষয়ে সাবেক সভাপতি আব্দুল হান্নান বলেন, আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে। আমার সময়ে আমি বিদ্যালয়ের উন্নয়ন করেছি। আপনার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীর কাছে এসে খোজ নিয়ে প্রকৃত ঘটনা জানতে পারবেন। এঘটনায় জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ বিষয়ে আমি ইতোমধ্যে একবার স্কুল পরিদর্শন করেছি। কাগজপত্র প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।