আশাশুনি

আশাশুনিতে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির ঘটনা অর্থের বিনিময়ে ধাঁমা চাপার চেষ্টা

By daily satkhira

October 01, 2018

মোস্তাফিজুর রহমান, আশাশুনি : আশাশুনির বড়দলে ৪৬ নং ফকরাবাদ সরকারি প্রাথািমক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মলয় মন্ডল(৪৫) কর্তৃক ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টিকে ৫০ হাজার টাকায় ধাঁমা চাপা দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। যৌন হয়রানির স্বীকার ফকরাবাদ সরকারি প্রাথািমক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী মুসলিমা খাতুন জানান, ১ মাস আগে থেকেইে মলয় স্যার তার বাড়িতে প্রাইভেট পড়ার সময় তাকে বিভিন্ন ভাবে যৌন হয়রানির চেষ্টা করে আসছে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অযুহাতে স্যার তার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেয়ার চেষ্টা করেছে এবং দিয়েছেও। প্রথমে বিষয়টি সে তার মাকে বলেছিলো। সে আরও জানায় সর্বশেষ গত শনিবার রাতে স্যারের বাসায় পড়ার সময় স্যার মলয় প্রধান শিক্ষক মিতা মন্ডল মুসলিমাকে ডেকেছে এমন অযুহাতে তাকে ঘর থেকে বাহিরে আনার চেষ্টা করে। মুসলিমা তখন বলে সে একা যাবে না কাঊকে সাথে নিতে হবে। তখন সে মারুফাকে তার সাথে নিয়ে নেয়। স্যারের সাথে কিছু দুর যেতে না যেতেই স্যার টর্চ লাইট বন্ধ করে তার(মুসলিমা) পাশে আসলে তারা ভয়ে দৌড় দিয়ে ঘরে এসে দরজা বন্ধ করে লাইট নিভিয়ে পালিয়ে খাকে। মুসলিমার পিতা জানান, শনিবারে আমি প্রথমে বিষয়টি জানতে পারি। এর আগে ওর মা বিষয়টি জানতো কিন্তু লজ্জায় কাউকে জানায়নি। বিষয়টি জানতে পেরেই আমি স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে অবহতি করি। সভাপতি তাকে বলেন বিষয়টি তিনি শুনেছেন এবং জানাশুনা করবেন। অভিযুক্ত মলয় মন্ডল প্রথম দিকে ঘটনাটি অস্বীকার করলেও পরবর্তিতে ৫০ হাজার টাকায় মিমাংসার একটি প্রস্তাব ছুড়ে দেন। পরিচালনা কমিটির সভাপতি পার্থ মন্ডল জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন তবে কোন সমস্যা হওয়ার আগেই তিনি বিষয়টির একটি সমাধান চান। অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষিকা মিতা মন্ডল জানান, স্কুলটিকে তিনি মন্দীর মনে করেন। মন্দীর মনে করেন বলেই আজ এই প্রতিষ্ঠানটি সাতক্ষীরা জেলার একটা নাম করা প্রতিষ্ঠান। তিনি বিষয়টিকে কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। ঘটনাটি কতটুকু সত্য আর মিথ্যা সেটা যাচায় করার আগেই তো প্রতিষ্ঠানের সুক্ষ্যাতি নষ্ট হবে। আশাশুনি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোছঃ শামছুন্নাহার জানান, আপনার সাথে কথা বলেই বিষয়টি আমি জানতে পারলাম। আমি খোজ খবর নিয়ে দেখছি।