অনলাইন ডেস্ক: হৃদরোগের অন্যতম কারণ এই ধূমপান। মানবদেহের এমন কোনো অঙ্গ নেই, যা ধূমপানে ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। দুরারোগ্য ক্যান্সার, দৃষ্টিহীনতা, যক্ষ্মাসহ বহুবিধ রোগ সৃষ্টিকারী এ ধূমপান থেকে বেঁচে থাকা সুস্বাস্থ্যের জন্য একান্ত জরুরি। ধূমপায়ীরা খাবারের পুষ্টিগুণ এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্টের সুফল থেকে বঞ্চিত। ধূমপানের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দেহাভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো (বিশেষ করে ফুসফুস) গ্রহণ করা খাবারের সুফল থেকে বঞ্চিত হয়। যাদের ক্ষেত্রে ধূমপান ত্যাগের কোনোই বিকল্প নেই, তারা নির্দিষ্ট খাদ্যাভাসের মাধ্যমে ধূমপানের ফলে সৃষ্ট রোগের ঝুঁকি থেকে অনেকটাই রেহাই পেতে পারেন।
আসুন জেনে নেই ধূমপানের ক্ষতি কমিয়ে আনবে এমন কিছু খাবারের নাম।
সরিষা পাতা সরিষা ধূমপায়ীদের জন্য বিশেষ উপকারী একটি খাদ্যদ্রব্য। কারণ এটি ফুসফুসের প্রদাহ রোধে সহায়তা করে। পাশাপাশি ধূমপানের ইচ্ছারোধ এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের দুর্বলতা রোধ করে।
কপি জাতীয় সবজি প্রতিদিন অন্তত একটি কপি জাতীয় সবজি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে ধূমপানের ফলে সৃষ্ট ক্যানসারের ঝুঁকি কমে যায়। কপি জাতীয় সবজির কিছু উদাহরণ হল- স্প্রাউট, ব্রকলি, ফুলকপি, কলমীদল শালুক, রঙিন আরুগুলা, মুলা এবং চীনা বাঁধাকপি।
ক্যাটচিন ফাইটোকেমিক্যাল যৌগ ক্যাটচিন ধূমপানের ক্ষতি কমাতে বিশেষ সহায়ক হিসেবে বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। ব্ল্যাক টি, আঙুর, কালোজাম এবং গাঢ় রঙয়ের চকলেট ক্যাটচিন এর ভালো উৎস।
মিথিওনিন মিথিওনিন নামক অ্যামিনো অ্যাসিডটি আমাদের ফুসফুসের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। বিভিন্ন ধরনের ফলের বীজ, শস্যদানা, মাছ এবং মাংসে মিথিওনিন থাকে।
ডালিম বেদানা বা ডালিমে রয়েছে এলাগিক অ্যাসিড, এটি শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে ধূমপায়ীর শরীরের ক্ষতিকর মৌল দূর করে এবং ফুসফুসের কোষসহ শরীরের কোষের ক্ষতি কমাতে সহায়তা করে।
পেঁয়াজ ও রসুন সালফার যৌগে পরিপূর্ণ পেঁয়াজ এবং রসুন শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যায় উপকারী ভূমিকা পালন করে এবং ফুসফুসকে পরিষ্কার রাখে। পেঁয়াজে আপেল এবং শিমের ন্যায় ‘কোয়েরসেটিন’ থাকে, যা ফুসফুসকে ভালো রাখতে সহায়তা করে।