অনলাইন ডেস্ক: লেজার নিয়ে গবেষণায় যুগান্তকারী উদ্ভাবনের জন্য পদার্থবিদ্যায় এ বছর নোবেল পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের আর্থার আশকিন, ফ্রান্সের রেজার্ড মুরু ও কানাডার ডোনা স্ট্রিকল্যান্ড। ৫৫ বছর পর কোন নারী পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার পেলেন। মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) পদার্থবিদ্যায় চলতি বছরের বিজয়ী হিসেবে এই তিন বিজ্ঞানীর নাম ঘোষণা করেন রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস। নোবেল পুরস্কারের ৯০ লাখ সুইডিশ ক্রোনারের মধ্যে আশকিন পাবেন অর্ধেক। আর বাকি অর্ধেক মুরু ও স্ট্রিকল্যান্ড ভাগ করে নেবেন। টুইটারে নোবেল কমিটির দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অত্যন্ত সরু লেজার রশ্মি নির্ভুলভাবে বিভিন্ন পদার্থ এমনকি জীবন্ত প্রাণীর দেহ কাটতে অথবা ছিদ্র করতে পারে। প্রতিবছর লাখ লাখ চোখের অপারেশন হয় সরু লেজার রশ্মি দিয়ে। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক আর্থার অ্যাশকিন আবিস্কার করেছেন অপটিক্যাল চিমটা যার মাধ্যমে কণা, পরমাণু, ভাইরাস ও অন্যান্য জীবিত কোষ লেজার রশ্মি দিয়ে ধরা যায়। নতুন এই যন্ত্রটির মাধ্যমে অ্যাশকিন সায়েন্স ফিকশনের একটি পুরোনো স্বপ্ন বাস্তবে নিয়ে আসেন- আলোর বিকিরণ চাপ ব্যবহার করে বস্তুকে অপসারণ। তিনি লেজার রশ্মি ব্যবহার করে কণাকে আলোকরশ্মির কেন্দ্রে নিয়ে আসতে এবং তাদের সেখানে ধরে রাখতে সক্ষম হন। ফরাসি নাগরিক জেরার্ড মৌরো এবং কানাডার ডোনা স্ট্রিকল্যান্ড মানব জাতির ইতিহাসে সবেচেয়ে ক্ষুদ্র ও সবচেয়ে তীব্র লেজার অনুরণন সৃষ্টির পথ প্রশস্ত করেন। তাদের লেখা যুগান্তকারী নিবন্ধটি প্রকাশ হয়েছিল ১৯৮৫ সালে। আগামী ১০ ডিসেম্বর সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।